আব্দুর রহিম, সিঙ্গাপুর প্রতিনিধি:
সিঙ্গাপুর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য মতে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত ৬২৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত বেশির ভাগই অভিবাসীদের জন্য নির্ধারিত আবাসস্থল গুলার সাথে সম্পর্কিত এবং সর্বমোট সিঙ্গাপুরের আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০৫০ জনে।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ রোধে নতুন করে সিঙ্গাপুর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরো তিনটি অভিবাসী শ্রমিকদের আবাসস্থলকে (ডরমেটরি) আইসোলেশন এরিয়া হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। ডরমেটরি গুলো হলো তোয়াজ ভিউ ডরমেটরি, সো লজ ডরমেটরি এবং নথ্ কোস্ট লজ। আজকে সরকারি এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, সর্বমোট ১২ টি ডরমেটরি কে আইসোলেশন এরিয়া হিসেবে সরকারি গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। আইসোলেশন এরিয়া হিসেবে সরকারি গেজেটভুক্ত প্রত্যেকটি ডরমেটরিতে প্রতিনিয়তই অভিবাসী শ্রমিকদের আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে এস এলিভেন ডরমেটরিটি, এখানে প্রায় ১৩ হাজারের অধিক প্রবাসী শ্রমিকদের বসবাস। এই পর্যন্ত ১১৬১ জন প্রবাসী শ্রমিক আক্রান্ত যার মধ্যে ৮০০ এর অধিক বাংলাদেশী, এছাড়াও ভারত, মায়ানমার ও চাীনা অভিবাসী শ্রমিকরা আক্রান্ত হয়েছে।
দ্বিতীয় অবস্থানে আছে সোনাই ডাঙ্গা লজ, যাতে এ পর্যন্ত তিন শতাধিক বাংলাদেশীসহ ৪২৩ জন অভিবাসীর আক্রান্ত হবার তথ্য পাওয়া গেছে। এখানে প্রায় ২০ হাজারের অধিক প্রবাসী শ্রমিকদের বসবাস। এরপর রয়েছে মান্দাই লজ যেখানে ৩০১ জন অভিবাসীর আক্রান্ত, যার মধ্যে দুই শতাধিক বাংলাদেশি। ওয়েস্ট লাইট তো গান ডরমেটরি , যেখানে ৭৫ জন বাংলাদেশিসহ মোট আক্রান্ত ১২০ জন অভিবাসী। তোগান ডরমেটরি যেখানে ৫০ অধিক বাংলাদেশীসহ ৯৭ জন অভিবাসী, কোচরেন লজ ১ যেখানে ৫২ জন অভিবাসী, তোয়াজ ভিও ডরমেটরিতে ১০৩ জন অভিবাসী, টেম্পানিজ ডরমেটরিতে ৭৭ জন অভিবাসী, কাসিয়া লজে এ পর্যন্ত ৮২ জন অভিবাসী, স, লজে ৩২ জন অভিবাসী, নর্থ কোস্ট লজ এ ৩৪ জন অভিবাসীর আক্রান্ত হবার তথ্য পাওয়া গেছে।
এছাড়া সিঙ্গাপুরে আক্রান্ত আরো ২২টি ডরমেটরি যেকোনো মুহূর্তে লকডাউন করার সম্ভাবনা রয়েছে। অদ্যাবধি আক্রান্তদের মধ্যে দুই হাজারেরও বেশি বাংলাদেশী।