আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার বিরুদ্ধে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ও হ্যাকিংয়ের অভিযোগ এনেেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ইস্যুতে রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্র নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ সংক্রান্ত এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। নতুন এই নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার ১০ কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাইডেন প্রশাসনের এই নিষেধাজ্ঞাকে ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ চেষ্টার প্রথম প্রতিশোধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা দপ্তরগুলো জানিয়েছে, গতবছর টেক্সাস কেন্দ্রিক একটি সফটওয়্যার ব্যবস্থাপনা কোম্পানি সোলারইউন্ডস’ এ সাইবার নিরাপত্তার যে ব্যাপক ভাবে লঙ্ঘন ঘটে তা ছিল রাশিয়ার গোপন সংবাদ সংগ্রহেরই একটি অংশ। এই হস্তক্ষেপের কারণে হ্যাকাররা হাজার হাজার কোম্পানি এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ, বিচার, জ্বালানি শক্তি, স্বদেশ সুরক্ষা বিভাগসহ বিভিন্ন ফেডারেল বিভাগকে নিজেদের নাগালের মধ্যে নিয়ে এসেছিল।
যুক্তরাষ্ট্র এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ না করার জন্য রাশিয়ার প্রতি একটি সতর্ক বার্তা পাঠাল। ইউক্রেন এবং মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। কয়েকদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দ্বিতীয়বারের মতো ফোন করে ইউক্রেনে উত্তেজনা হ্রাসের আহ্বান জানান। ওই ফোন কলে যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য দৃঢ়ভাবে কাজ করবে বলেও ঘোষণা দেন।
এর আগে গত মাসে টেলিভিশনে এক সাক্ষাতকারে জো বাইডেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে ‘খুনি’ হিসেবে উল্লেখ করেন। এরপর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে লাইভ বিতর্কের আমন্ত্রণ জানান। এছাড়া পুতিন রাশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে যুক্তরাষ্ট্রের দাস প্রথা, নেটিভ আমেরিকানদের হত্যা এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানে বোমা বিস্ফোরণে কথা স্মরণ করিয়ে দেন।
সান নিউজ/আরআই