আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের ভুবনেশ্বরে ১৭ বছর বয়সী টিনেজ থেকে শুরু করে ৪০ বছর বয়সীদের প্রথম দফা করোনা সংক্রমণের চেয়ে এবার দ্বিতীয় দফা বা ঢেউয়ে অধিক হারে সংক্রমিত করছে করোনা ভাইরাস। এ নিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্কতা দিয়েছেন।
তারা বলেছেন, এক্ষেত্রে কোনো রকম অবহেলা করলে তাতে মারাত্মক পরিণতি নেমে আসতে পারে। কারণ, এই বয়সসীমার জন্য এখনও কোনো করোনা ভাইরাসের টিকা নেই।
১৫ই ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ই এপ্রিল পর্যন্ত ওড়িশা রাজ্যের করোনা আক্রান্ত মানুষদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এ সময়ে পর্যন্ত নতুন মোট সংক্রমণের সংখ্যা ১৬ হাজার ৮২৪ জনের মধ্যে ১৩১৬ জনই শিশু।
এদের বয়স ১৬ বছরের নিচে। ৮৭০২ জনের বয়স ১৭ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। প্রথম দফা সংক্রমণে করোনা আক্রান্ত শিশুর শতকরা হার ছিল ৬ ভাগ।
কিন্তু তা বেড়ে এখন ৮ ভাগে দাঁড়িয়েছে। আর প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে তা ৫০ ভাগ থেকে বেড়ে ৫২ ভাগে দাঁড়িয়েছে। গত বছর ১৫ই মার্চ থেকে ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল ২১,২৫৪ জন শিশু। এ সময়ে আক্রান্ত প্রাপ্ত বয়স্কদের সংখ্যা ছিল এক লাখ ৬৩ হাজার ৬৮২।
উভয় গ্রুপের রোগীদের মৃত্যুহারে উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল। গত দু’মাসে যে ১১ জন মারা গেছে তার মধ্যে একজনের বয়স ১৬ বছরের নিচে। ৫ জনের বয়স ছিল ১৭ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। নতুন মৃতের ক্ষেত্রে এদের শতকরা হার যথাক্রমে ৯ ভাগ এবং ৪৫ ভাগ। গত বছর এই হার ছিল শতকরা ০.৪৭ ভাগ এবং ১১ ভাগ।
এর পরেই করোনার বিপজ্জনক ঝুঁকিতে এ রাজ্যে রয়েছেন ৪১ থেকে ৬০ বছর বয়সীরা। এ বছর ৫২৬৩ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। তারা মোট আক্রান্তের শতকরা ৩১ ভাগ। গত বছর এক লাখ ৮ হাজার ৫৫১ জনের দেহে এই সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল। তাদের শতকরা হার ছিল ৩৩ ভাগ।
করোনার প্রথম দফায় ৮৪৫ জন মারা গিয়েছিলেন। তবে এবার এই বয়সসীমায় মৃতের কোনো রেকর্ড নেই। প্রবীণদের ক্ষেত্রে এই সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। গত বছর ৬০ বছরের ওপরে বয়সীদের মৃত্যু হার ছিল শতকরা ১১ ভাগ। এ বছর তা ৯ ভাগ।
ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ই এপ্রিল পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৪৩ জন প্রবীণ নাগরিক। তার মধ্যে ৫ জন মারা গেছেন। গত বছর এমন ৩৬ হাজার ৩৭৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন ৮৩৬ জন। গত বছর ওড়িশা রাজ্যে মোট ৩ লাখ ২৯ হাজার ৮৬৬ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছিল। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৯০৭ জন।
সাননিউজ/এএসএম