আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসলাম নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন ডাচ আইন প্রণেতা গির্ট ওয়াইল্ডার্স। মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাসের শুরুতে নেদারল্যান্ডের কট্টোর ডানপন্থি ‘পার্টি অব ফ্রিডম’ দলের এই নেতার ইসলাম বিদ্বেষী মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তুরস্ক।
স্থানীয় সময় সোমবার গির্ট ওয়াইল্ডার্স পবিত্র রমজান মাস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও শেয়ার করেন। ওই ভিডিওতে তিনি লেখেন, ‘ইসলাম থামাও, রোজা বন্ধ কর, ইসলামকে ‘না’ বলো (স্টপ ইসলাম, স্টপ রমাদান, নো-ইসলাম।’ ওই ভিডিও প্রকাশের পর বুধবার তুরস্কের ক্ষমতাসীন দল একে পার্টির মুখপাত্র ওমর সেলিক ওয়াইল্ডার্সের মানসিকতাকে নিচ উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, গির্ট ওয়াইল্ডার্স ‘রেসিস্ট এবং ফ্যাসিস্ট মানসিকতা লালন করেন।’ এক টুইট বার্তায় একে পার্টির এই মুখপাত্র বলেন, ‘ইসলামের শত্রুরা এই ধরনের মনোভব পোষণ করার পাশাপাশি শরণার্থী, অসহায়, দরিদ্র মানুষ এবং বিদেশিদের ঘৃণা করেন।’
অন্যদিকে, তুরস্কের রাষ্ট্রপতির ধর্ম বিষয়ক প্রধান আলী এরবাস ডাচ এমপির এই ধরনের মানসিকতা অগ্রহণযোগ্য মন্তব্য করে বলেন, ‘আমি ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটিকে এ ধরনের বর্ণবাদী মানসিকতার বিরুদ্ধে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাই। এ ধরনের মানসিকতা ইসলাম ফোবিয়া উসকে দেয় এবং সামাজিক শান্তি নষ্ট করে।’
তুরস্কের যোগাযোগ পরিচালক ফাহরেটিন আলতুন ডাচ এমপির মন্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, ‘নির্মম, ওয়াইল্ডার্স একজ রেসিস্ট, ফ্যাসিস্ট, এক্সট্রিমিস্ট। ইসলাম এসবের নিন্দা জানায়। রেসিজম বন্ধ কর।’
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ‘ওয়াইল্ডার্স ইউরোপের সবচেয়ে কুখ্যাত ডানপন্থি দলের রাজনীতিবিদ। নেদারল্যান্ডে গত কয়েক দশক ধরে শরণার্থী বিতর্ক উসকে দেয়ার অন্যতম মূলহোতা তিনি। যদিও তিনি কখনও সরকারে ছিলেন না। তবে ইসলাম বিরোধী যুদ্ধাংদেহী বক্তব্য কেন্দ্র করে তার রাজনীতি গড়ে উঠেছে যেটা নেদারল্যান্ডের বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোকে বারবার নাড়া দিয়েছে এবং মুসলমানদের বিক্ষুব্ধ করেছে।’
গির্ট ওয়াইল্ডার্স ২০১১ সালে ইসলাম ধর্মকে নাৎসিবাদের সঙ্গে তুলনা করেন এবং মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ নিষিদ্ধের দাবি জানান। এই বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেয়ায় তার বিরুদ্ধে আদালতে নালিশ করা হয় কিন্তু আদালতে তিনি খালাস পান। গত ১৬ বছর ধরে ওয়াল্ডার্স অত্যান্ত কঠোর নিরপত্তার মধ্যে বসবাস করছেন। ইসলাম নিয়ে এমন বাগাড়ম্বরপূর্ণ বক্তব্য দেয়ার কারণে তিনি হত্যার হুমকি পেয়েছেন।
সান নিউজ/আরআই