আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নাইজেরিয়ার একটি কারাগারে সন্ত্রাসীগোষ্ঠী হামলা চালিয়ে ১ হাজার ৮শ’ বেশি বন্দিকে পালিয়ে যেতে সুযোগ করে দিয়েছে। হামলাকারীরা বিস্ফোরক দিয়ে দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় ওভেরি শহরের কারাগারের প্রশাসনিক ভবন উড়িয়ে দেওয়ার পর অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বলে কারা কর্তৃপক্ষের বরাদ দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।
তবে এ সময় কারাগারে থাকা ৩৫ বন্দি পালাতে রাজি হয়নি এবং ৬ বন্দি পালানোর পর আবার ফিরে আসে বলে জানিয়েছে কর্মকর্তারা। এই হামলা ও বন্দি পালাতে সাহায্য করার জন্য বিয়াফ্রা নৃগোষ্ঠীর নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসীগোষ্ঠীকে দায়ি করেছে পুলিশ। তবে গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করা হয়েছে।
পুলিশের একজন মুখপাত্র জানিয়েছে, সোমবার ভোররাতে কয়েকটি পিকআপ, ট্রাক ও বাসে করে ভারী অস্ত্রে সজ্জ্বিত লোকজন ইমো রাজ্যের ওভেরি কারাগারে হামলা চালায়। এ সময় তারা রকেট চালিক গ্রেনেড, মেশিন গান, রাইফেল ও বিস্ফোরক ব্যবহার করে। হামলার সুযোগে কারাগারের এক হাজার আটশর বেশি বন্দি পালিয়ে যায়।
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি হামলাটিকে সন্ত্রাসবাদী কাজ অভিহিত করে এর জন্য নৈরাজ্যবাদীদের দায়ি করেছেন। হামলাকারীদের ও পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের ধরার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বিয়াফ্রা বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর একজন মুখপাত্র একটি বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, সোমবারের হামলায় তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ মিথ্যা।
নাইজেরিয়ার ইমো রাজ্যটি অনেক দিন ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদী সমস্যায় আক্রান্ত। কেন্দ্রীয় সরকার ও স্থানীয় ইগবো নৃগোষ্ঠীর মধ্যে বিদ্যমান নাজুক সম্পর্ক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। জানুয়ারি থেকে নাইজেরিয়ার দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি থানায় ও গাড়িতে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা থানা লুট করে বহু অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গেছে। কোনও গোষ্ঠী এসব হামলার দায় স্বীকার করেনি।
সান নিউজ/এসএ