ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বিশ্বের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। ভাইরাসটি নির্মূলের জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা এখনও কোন প্রতিষেধক বের করতে পারেননি। ভাইরাসটি এত বেশি নিজেকে বদলাচ্ছে যে এর মতিগতি বোঝাই অসম্ভব হয় পড়ছে।
এর মাঝেও অবশ্য খুশির খবর দিয়েছে করোনার উৎস ভূমি চীন। ভ্যাকসিন তৈরিতে আরো এক ধাপ এগিয়েছে দেশটির বিজ্ঞানীরা। প্রথম ধাপের সফল পরীক্ষা শেষে দ্বিতীয় ধাপে ২৭৩ জনের শরীরে ভ্যাকসিনটির প্রয়োগ করেছেন তারা।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বিকাল ৫ টায় ৫শ' স্বেচ্ছাসেবীর মধ্যে ২৭৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ঠেকানোর এক ধরণের ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করেছে চীনের বিজ্ঞানীরা।
এছাড়াও করোনাভাইরাসের আরও দুটি নতুন ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল অনুমোদন করেছে দেশটি।
চীনের স্টেট কাউন্সিলের জয়েন্ট প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল ম্যাকানিজম এ ঘোষণা দেয়। এ নিয়ে চীন বর্তমানে সম্ভাব্য তিনটি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নিয়ে কাজ চলছে।
প্রথম ভ্যাকসিনটির ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা চালানো হয় মার্চের শেষের দিকে। তখন সুরক্ষার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়। গত ১৩ এপ্রিল দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় এর কার্যকারিতা সম্পর্কে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এবার প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষার থেকে বেশি স্বেচ্ছাসেবী অংশ নিয়েছেন। এই ধাপে ৬০ বছরের ওপরে যারা আছে তাদের ওপর ভ্যাকসিনটি পরীক্ষা চালানো হচ্ছে বলে জানান এই গবেষণার নেতৃত্বে থাকা চীনের শীর্ষস্থানীয় এপিডেমিওলজিস্ট এবং ভাইরোলজিস্ট চেন ওয়ে।
চেন ওয়ে বলেন, এই ভ্যাকসিনটি মানবদেহে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে সহায়তা করবে। করোনাভাইরাসের ভাইরাল অংশ এস জেনেটিক সিকুয়েন্সের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করবে ভ্যাকসিনটি। একবার ভাইরাস সংক্রমণ হলে শরীর এই এস জিন এবং পুরো ভাইরাস শনাক্ত করে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে করবে। সূত্র- দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস।
সাননিউজ/আরএইচ