ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের কারণে পৃথিবীর সব দেশের কার্যক্রম প্রায় স্থগিত। কিন্তু এমন ভয়াল পরিস্থিতিতেও দক্ষিণ কোরিয়ার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২১তম জাতীয় নির্বাচন।
বুধবার (১৫ এপ্রিল) ভোর ৬টায় কোরিয়ার সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
এই বছরের সাধারণ নির্বাচনে ২৫৩ নির্বাচনী এবং ৪৭টি সমানুপাতিক প্রতিনিধি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে।
দেশের তিনটি স্থল সম্প্রচারক দ্বারা পরিচালিত এক্সিট পোলগুলোর ফলাফল বিকেল ৬টার নাগাদ ঘোষণা করা হবে। আশা করা যাচ্ছে, চূড়ান্ত ফলাফল বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে পাওয়া যাবে। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের জন্য ব্যালট হাতে হাতে গণনা করা হবে।
এই বছরের নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোর প্রবর্তনের কারণে দলগুলোর ব্যালটটি ৪৮ সেন্টিমিটারের বেশি পরিমাপ করে, যা মেশিন দ্বারা গণনা অসম্ভব।
মহামারি মোকাবিলায় নেওয়া প্রেসিডেন্ট মুন জে ইনের পদক্ষেপকে সমর্থন দিয়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ। নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি, বেতন-ভাতা এবং উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি নির্বাচনে প্রভাব রাখার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মোকাবিলায় দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট মুন জে ইনের নেওয়া পদক্ষেপ বাকি সবকিছুকে আড়াল করে দিয়েছে। এক বছর আগেও নানা কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন প্রেসিডেন্ট মুন।
কোভিড-১৯ সংকটের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়াই প্রথম দেশ যেখানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। একাধিক মতামত জরিপে দেখা গেছে, মুন জে ইনের জনপ্রিয়তার রেটিং সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ করোনা মহামারি সরকার খুব ভালভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছে।
আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে, এতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরাও ভোট দিতে পারছেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, করোনা প্রকোপ বেশি থাকায় দেগু এবং রাজধানী সিউল শহরের ৩ হাজার রোগীর জন্য আটটি পোলিং স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া করোনা রোগীদের চিকিৎসার কাজে নিয়োজিত ৯০০ মেডিকেল স্টাফও আগাম ভোট দিয়েছেন।