আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের কয়েকটি রাজ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, যা রীতিমতো চিন্তার। যার ফলে গোটা দেশই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এই মরণঘ্যাতি ভাইরাসকে বিদায় করতেই হবে।
মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাডু ও গুজরাটসহ এই ৬ রাজ্যে করোনায় প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬ হাজার ২১১টি নতুন করে আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে। মহারাষ্ট্রে এক দিনেই সর্বাধিক ৩১ হাজার ৬৪৩ জন আক্রান্ত হয়েছে। পাঞ্জাবে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৮৬৮ এবং কর্ণাটকে ২ হাজার ৭৯২। এ ৬ রাজ্য বাদে রাজস্থান, হরিয়ানা, দিল্লি ও ছত্তিশগড়েও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
দেশে এদিন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৪০ হাজার ৭২০। অবশ্য গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ৯১২ কমেছে। দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের ৭৯ দশমিক ৬৪ শতাংশই মহারাষ্ট্র, কেরল, পাঞ্জাব, কর্ণাটক ও ছত্তিশগড় থেকে। কেবল মহারাষ্ট্রেই আক্রান্তের হার ৬২ শতাংশের বেশি।
মঙ্গলবার ( ৩০ মার্চ )সকাল ৭টা পর্যন্ত প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ৬ কোটি ১১ লাখ ১৩ হাজার ৩৫৪টি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৮১ লাখ ৭৪ হাজার ৯১৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী প্রথম ডোজ, ৫১ লাখ ৮৮ হাজার ৭৪৭ জন কর্মী দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। এ ছাড়াও, ৮৯ লাখ ৪৪ হাজার ৭৪২ জন করোনাযোদ্ধা প্রথম ডোজ ও ৩৭ লাখ ১১ হাজার ২২১ জন করোনাযোদ্ধা দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন।
নির্দিষ্ট কিছু উপসর্গ বিশিষ্ট ৪৫ বছরের বেশি বয়সী ৬৮ লাখ ৭২ হাজার ৪৮৩ জন সুফলভোগী প্রথম ডোজ এবং ৪০৫ জন সুফলভোগী দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। এমনকি, ৬০ বছরের বেশি বয়সী ২ কোটি ৮২ লাখ ১৯ হাজার ২৫৭ জন সুফলভোগী প্রথম ডোজ এবং ১ হাজার ৫৮৩ জন সুফলভোগী দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন।
ভারতে টিকাকরণ অভিযানের ৭৩তম দিনে ৫ লাখ ৮২ হাজার ৯১৯টি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫ লাখ ৫১ হাজার ১৬৪ জন সুফলভোগী প্রথম ডোজ এবং ৩১ হাজার ৭৫৫ জন সুফলভোগী দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। দেশে মঙ্গলবার করোনায় সুস্থতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১৩ লাখ ৯৩ হাজার ২১। জাতীয় স্তরের সুস্থতার হার ৯৪.১৯ শতাংশ। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরোগ্য লাভ করেছেন ৩৭ হাজার ২৮ জন।
সান নিউজ/এসএ