সান নিউজ ডেস্ক :
মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস ফাঁকেই বিশ্বব্যাপী হামের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।
বিবিসির প্রতিবদেনে বলা হয়েছে, করোনা কারণে কোনো কোনো দেশে টিকাদান কর্মসূচি পিছিয়ে যেতে পারে।তারা বলছে, এতেই হাম ছড়িয়ে পড়তে পারে বিশ্বব্যাপী।
ইউনিসেফের হিসাব মতে, করোনাভাইরাসের লকডাউন চলার সময় ৩৭টি দেশে প্রায় ১৭ কোটি শিশুকে সময়মত টিকা দেয়া সম্ভব হবে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপের যেসব দেশে এমএমআর টিকা কম দেয়া হয়েছে সেখানে ইতিমধ্যেই কয়েকবার হামের প্রকোপ দেখা দিয়েছে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, যে সব দেশে হামের উপদ্রব নেই, সে সব দেশ করোনা মহামারির কারণে প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে পারে।
করোনা মহামারির কারণে বাংলাদেশ, ব্রাজিল, বলিভিয়া, কম্বোডিয়া, চাদ, চিলি, কলম্বিয়া, জিবুতি, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, কঙ্গো, ইথিওপিয়া, হন্ডুরাস, কাজাখিস্তান, কিরগিজস্তান, লেবানন, মালদ্বীপ, মেক্সিকো, নেপাল, নাইজেরিয়া, প্যারাগুয়ে, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, ইউক্রেন এবং উজবেকিস্তান এই দেশগুলো টিকা কার্যক্রম দেরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
হাম হলে কাশি, ফুসকুড়ি এবং জ্বর দেখা দেয়। সাধারণত আক্রান্ত রোগীর হাঁচি-কাশি থেকে আশপাশের সুস্থ মানুষের শরীরে এটি ছড়িয়ে পড়ে। শিশুরাই হামে বেশি আক্রান্ত হয়। তবে বড়দেরও হাম হতে পারে।
হামের প্রতিষেধক হিসেবে বড়দের জন্যও এমএমআর ভ্যাকসিন রয়েছে। এ ভ্যাকসিন দেওয়া না থাকলে হাম হওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে। হাম অত্যন্ত সংক্রামক একটি রোগ।