সান নিউজ ডেস্ক : করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত ভেনেজুয়েলা জ্বালানি তেল রফতানি নির্ভর দেশ। মহামারিতে বিপর্যন্ত পুরো বিশ্বের জ্বালানি তেলের বাজার। এরমধ্যে নিষেধাজ্ঞা আরো বিপর্যয় ডেকে এনেছে দেশটির আর্থিক অবস্থায়। দেশের সব মানুষের জন্য ভ্যাকসিন কেনার সামর্থ্য নেই ভেনেজুয়েলার। তাই ভ্যাকসিন কিনতে বিকল্প চিন্তাভাবনা চলছে।
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, তাদের জ্বালানি তেল আছে, ভ্যাকসিনের অর্থ পরিশোধের সক্ষমতা না থাকলেও এর পরিবর্তে জ্বালানি তেল সরবরাহ করবে তার দেশ। কিন্তু ভ্যাকসিন বিনামূল্যে চাইবে না কারো কাছে।
জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেকেনর সদস্য দেশ ভেনেজুয়েলার জ্বালানি তেল রফতানি গেলো এক দশকে রেকর্ড পরিমাণে কমে গেছে। মাদুরো বলেন, কোভ্যাক্সও কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। চীন আর রাশিয়া দেশটিতে ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে। তবে ভেনেজুয়েলার অর্থ দেশের বাইরে জব্দ অবস্থায় আছে নিষেধাজ্ঞার কারণে।
গেল সপ্তাহে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেলসি রদ্রিগেজ বলেন, দেশের বাইরে বিভিন্ন ব্যাংকে আটকে আছে ভেনিজুয়েলার ৭০০ কোটি ডলার অর্থ।
দিনদিনই দেশটিতে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। পার্শ প্রতিক্রিয়ার কারণে অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্যাকসিন আমদানি করছে না ভেনেজুয়েলা। ভ্যাকসিনগুলো ভেনিজুয়েলার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পাওনা ঋণ পরিশোধ করেনি এ দেশ। তাই এগুলো ভেনেজুয়েলাকে সরবরাহ করা হয়নি। রাশিয়ার স্পুটনিক ভি আর চীনের সিনোফার্ম করোনা ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে ভেনেজুয়েলার সরকার। ২০২০ সালের অক্টোবরেই প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করে ভেনিজুয়েলা।
দেশটিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেলের মজুদ রয়েছে এবং ভেনেজুয়েলার প্রতিদিন ১৩ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে দেশটির বন্ধ হয়ে যাওয়া তেল শোধনাগারগুলোকে সচল করা যাচ্ছে না। ফলে ভেনিজুয়েলায় জ্বালানি উৎপাদনের মোট সক্ষমতার মাত্র ২০ শতাংশ উৎপাদিত হচ্ছে।
সান নিউজ/এসএম