আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে ভোটকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারণা। দোলের পর হোলি উৎসবকে প্রচারের কাজে ব্যবহার করছেন বিজেপি ও তৃণমূল প্রার্থীরা।
সোমবার (২৯ মার্চ) রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে তৃণমূলনেত্রী মমতা নন্দীগ্রামের ঠাকুরচকে দলীয় জনসভায় বক্তব্য রাখেন। নির্বাচনে বিজেপি প্রসঙ্গে মমতা বলেন, আমার কাছে খবর আছে বাজার থেকে পুলিশের পোশাক কিনেছে। পুলিশের পোশাক কিনে এনে কয়েকটা জায়গায় গেস্ট হাউসে রেখে দিয়েছে বিজেপির ক্যাডারদের পরিয়ে। তাদের বিহার পুলিশ সাজাবে, উত্তর প্রদেশ পুলিশ সাজাবে, দিল্লির পুলিশ সাজাবে।
গ্রামে গ্রামে গিয়ে ভয় দেখাবে, আর বলবে বিজেপিকে ভোট দাও। মনে রাখবেন ওগুলো পুলিশ নয়, ওগুলো হচ্ছে ফুলিশ। ভাঁওতা, ভাঁওতা। এ জিনিস আমি কেন করব? এছাড়া বিজেপি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, 'আজকে কতগুলো ছেলেকে শিখিয়ে দিয়েছে, হিন্দু-মুসলিম বিভাজন করে দাও নন্দীগ্রামে। কতগুলো ছেলেকে শিখিয়ে দিয়েছে, যাও হিন্দু মন্দিরে গিয়ে একটু মাংস ফেলে এসো, যাতে দাঙ্গা বাধানো যায়! কেন করবে? আমরা বুঝি হিন্দু ঘরের লোক নই?
তুমি হিন্দু-মুসলিম বিভাজন করতে এসেছো? নন্দীগ্রামে যখন আন্দোলন হয়েছিল, তখন কেউ শাঁখ বাজিয়েছে, কেউ উলু দিয়েছে, কেউ আজানের ধ্বনি দিয়েছে, এক সঙ্গে কাজ করেছে। তখন তো কই ওই ভূমি আন্দোলনে এই ভেদাভেদ, এই ভাগাভাগি ছিল না। তাহলে আজকে কেন, দাঙ্গা করতে হবে? ভাগাভাগি করতে হবে
এরমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনী সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। রাতের অন্ধকারে ভিন্ন মত অনুসারীদের বাড়ি-ঘরে চালানো হচ্ছে হামলা। যদিও ভোটের নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাজ্যজুড়ে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এরপরও নির্বাচনী সহিসংতা খবর উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে।
সান নিউজ/এসএ