আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী কর্তৃক ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা দখলের পর থেকে সারা দেশে গণতন্ত্র পূনরুদ্ধার আন্দোলনে বিক্ষোভকারীদের দমন-পীড়নে হতাহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার ( ২৩ মার্চ ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জ মিন টুন। তিনি বলেন, নিহতরাও এদেশের নাগরিক। ফলে তিনি তাদের জন্য বেদনা অনুভব করেন। জ মিন টুন বলেন, অভ্যুত্থানের পর উদ্ভূত সহিংসতায় সারা দেশে ১৬৪ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। একই সময়ে নিরাপত্তা বাহিনীরও ৯ সদস্য নিহত হয়েছে।
এ সময় তিনি বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়া এবং সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগ করেন। ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের পর জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে রক্তাক্ত দমনপীড়নের কারণে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে রয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।
বেসরকারি হিসাবে, বিক্ষোভের কারনে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫০ জন নিহত হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সমঝোতার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে যে চাপ দেওয়া হচ্ছে, তার তোয়াক্কা করছে না জান্তা সরকার। উল্টো সেনাসদস্যদের বিদেশি হুমকি মোকাবিলার জন্য উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছে তারা।
পশ্চিমা দেশগুলো শুরু থেকেই মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান ও সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকা আসিয়ান জোটের সদস্যরাও মুখ খুলতে শুরু করেছে। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো আঞ্চলিক নেতা হিসেবে সবচেয়ে কঠোর মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেছেন, সহিংসতা অবশ্যই বন্ধ হতে হবে। আসিয়ান সভাপতিকে জরুরি বৈঠক আহ্বান জানাবেন বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন জানিয়েছেন, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহারে তিনি মর্মাহত।
সিঙ্গাপুরও তাদের অসন্তোষের কথা জানিয়েছে। তবে মিয়ানমার সেনাবাহিনী পিছু হটার কোনও ইঙ্গিত দিচ্ছে না এখন পর্যন্ত। তারা এখনও ক্ষমতা দখলের পক্ষে সাফাই গাইছে। সূত্র: রয়টার্স।
সান নিউজ/এসএ