আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী সিডনির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকার কিছু অংশের কয়েক হাজার লোকজনকে বাড়িঘর থেকে সরে অন্যত্র যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২১ মার্চ ) এ নির্দেশনা দিয়েছে সিডনি কর্তৃপক্ষ। শনিবার ২০ মার্চ মধ্যরাত থেকে দেশটির পূর্ব উপকূলে তীব্র বৃষ্টিপাত অব্যাহত। একই সঙ্গে দ্রুত প্রবাহিত পানির সঙ্গে পুরো অঞ্চল জুড়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চলছে।
অস্ট্রেলিয়ার সর্বাধিক জনবহুল অঙ্গরাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলসের (এনএসডাব্লিউ) প্রায় ১২টি এলাকা বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেছে। নদী পরিপূর্ণ হয়ে ভয়াবহ বন্যার ঝুঁকি রয়েছে। তাই অঞ্চলগুলোর ৮ মিলিয়ন লোককে সতর্ক করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের
অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজকে দেশটির ব্যুরো অব আবহাওয়া বিজ্ঞানের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ জোনাথন হাউ বলেন, এটি কেবল বৃষ্টিপাতই নয়, এটি ধ্বংসাত্মক ঘটনারও কারণ। এটি তীব্র বাতাসও বটে।
তিনি বলেন, রোববারও সিডনিতে অব্যাহত থাকবে ভারী বর্ষণ। এছাড়া সিডনির বাকি অংশেও বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সবমিলে কিছু অঞ্চলে ২০০ মিলিমিটার (সাত দশমিক নয় ইঞ্চি) পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে।
দেশটির জরুরি পরিষেবাগুলো বলছে, তারা একরাতে প্রায় ৬০০ ফোনকল পেয়েছে। এতে সাহায্য চাওয়ার আবেদন ছিল। এরমধ্যে ৬০টিরও বেশি কল তাদের বন্যা থেকে উদ্ধারের আবেদনে ছিল। এছাড়া সতর্কতা জারির পর এলাকাবাসী দলে দলে আশ্রয়কেন্দ্রেও যেতে শুরু করেছেন।
টেলিভিশন ফুটেজে নিউ সাউথ ওয়েলস অঙ্গরাজ্যের টারে শহরে নদীতে একটি বাড়ি ভেসে যেতে দেখা গেছে। স্থানীয় মিলনায়তনে প্রায় দেড়শ’ মানুষ রাতে আশ্রয় নিয়েছেন। দাবানলের সময়ও এটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। অনুমোদিত আশ্রয়কেন্দ্র ক্লাব টারের প্রধান নির্বাহী পল অ্যালেন বন্যাকে বিপর্যয়কর বলে মন্তব্য করেছেন। সম্প্রচারমাধ্যম এবিসিকে তিনি বলেন, কিছু স্থানীয় বাসিন্দা বন্যায় সব হারিয়েছেন।
দ্য ওরেগামবা ড্যাম সিডনির বেশির ভাগ এলাকায় খাওয়ার পানির জোগান দেয়। শনিবার বিকেলে এটিও প্লাবিত হয়ে যায়। সুপেয় পানির রিজার্ভারে ১৯৯০ সালের পর থেকে এ প্রথম এ ধরনের ঘটনা ঘটল। সিডনি ও আশপাশের এলাকায় বৃষ্টি আর বন্যার কারণে করোনাভাইরাসের টিকাদান স্থগিত হয়েছে।
এ সপ্তাহের মধ্যে উপকূলবর্তী এলাকায় বৃষ্টি কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে এ সপ্তাহের মধ্যে উপকূলবর্তী এলাকায় বৃষ্টি কমতে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।
সান নিউজ/এসএ