আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারে চলমান সামরিক শাসন বিরোধী বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের ওপর নারকীয় নৃশংসতার পাশাপাশি এবার গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে মরিয়া মিয়ানমারের সামরিক সরকার।
একের পর এক সংবাদ সংস্থার লাইসেন্স বাতিল এবং দেশের সংবাদকর্মীদের গ্রেফতারের ধারাবাহিকতায় দেশটিতে এবার আটক করা হয়েছে বিবিসির এক সংবাদিককে।
শুক্রবার (১৯ মার্চ) জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নতুন করে আরও ৮ জন নিহত হয়েছেন। দেশটিতে চলমান বিক্ষোভে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৩ জনে।
নিজ দেশের সাধারণ মানুষের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এমন নৃশংস নির্যাতন যেন প্রতিদিনের চিত্র। আন্দোলনকারী সন্দেহ হলেই নাগরিকদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী।
এসব অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেও দেড় মাসের বেশি সময় ধরে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষ। শুক্রবারও দেশটির বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়। এতে আবারও গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। হতাহত হন বেশ কয়েক জন।
শুধু বিক্ষোভকারীদের দমন করেই ক্ষান্ত নয় মিয়ানমারের জান্তা সরকার। সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের খবর যাতে প্রকাশ না পায় সে জন্য গণমাধ্যমের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা করেছে কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার আটক করা হয়েছে বিবিসির সাংবাদিক অং থুরাসহ দুই সংবাদকর্মীকে। এ নিয়ে দেশটিতে ৪০ সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে। এমন অবস্থায় মিয়ানমারকে সহিংসতা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান অব্যাহত রেখেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।
শুক্রবার দেশটির জান্তা সরকারের নির্যাতনের নিন্দা জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো ইউদোদো। তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের চলমান ঘটনায় আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। যারা এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ইন্দোনেশীয় জনগণের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আশা করছি, রক্তপাত বন্ধে বর্তমান সরকার দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে।
মিয়ানমারে ১ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২ শতাধিক মানুষ। আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন আরও অনেকে। সূত্র বিবিসি।
সান নিউজ/এসএ