আন্তর্জাতিক

জ্বালানির ৯০ ভাগ পুড়বে এশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে কার্বন নির্গমন কমাতে জ্বালানি তেল ব্যবহারের পরিবর্তে এখন আলোচনায় বৈদ্যুতিক গাড়ি। ফলে আগামী কয়েক বছরে সেসব দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে আসবে। ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ) বলছে, ২০২৫ সাল নাগাদ জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদার ৯০ শতাংশই ব্যবহৃত হবে এশিয়ার দেশগুলোতে। খবর অয়েলপ্রাইস ডটকম।

জ্বালানি তেলের চাহিদার রেকর্ড প্রবৃদ্ধি হয় ২০১৯ সালে। যে ধারা পরের বছরেও অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাস মহামারি সেই ধারণা পুরোটাই উল্টে দিয়েছে। গত বছর বড় বিপর্যয়ে পড়ে বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের বাজার।

তবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে জ্বালানি তেলের বাজার এ ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে বলে মনে করছে আইইএ। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ২০২৬ সাল পর্যন্ত জ্বালানি তেলের চাহিদায় প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। আর এক্ষেত্রে নেতৃত্বের আসনে থাকবে এশিয়ার দেশগুলো।

বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের বাজার নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আইইএ। যেখানে প্যারিস ভিত্তিক স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বিশ্বব্যাপী নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ছে। বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোয় যে হারে জ্বালানি পণ্যটির চাহিদা কমছে, তাতে মনে হতে পারে জ্বালানি তেলের যুগ শেষ হতে যাচ্ছে।

তবে এশিয়ার দেশগুলোয় চাহিদার প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি পণ্যটির বাজার চাঙ্গা করতে ভূমিকা রাখবে। এ অঞ্চলের বাজারে দ্রুতই মহামারি-পূর্ববর্তী চাহিদা ফিরে আসবে।

আইইএ মনে করছে, আগামী দুই বছরের মধ্যেই অর্থাৎ ২০২৩ সাল নাগাদ জ্বালানি তেলের বাজার মহামারি-পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরে আসবে। বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলোয় দ্রুতই চাহিদা বাড়ছে। আর এ ধারা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে আগামীতে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দৈনিক উত্তোলন ১০ কোটি ব্যারেল অতিক্রম করতে পারে।

খাত সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা মনে করছেন, উন্নত দেশগুলোয় জ্বালানি তেলের চাহিদা মহামারি-পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরে নাও আসতে পারে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, এসব দেশে যাতায়াত ব্যবস্থা ও কর্মক্ষেত্রের অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। পরিচ্ছন্ন জ্বালানি হিসেবে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ছে।

বাড়ছে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহারও। ফলে জ্বালানি পণ্যটির চাহিদা কমে আসছে। বিপরীত অবস্থা থাকবে এশিয়ার বাজারে। বিশেষ করে চীন ও ভারতের মতো বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলো জ্বালানি তেলের বাজার চাঙ্গা রাখতে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে।

আগামীতে জ্বালানি তেলের চাহিদার বড় অংশ এশিয়ার দেশগুলোয় থাকলেও প্রবৃদ্ধিতে খুব একটা গতি আসবে না বলে মনে করছে আইইএ। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এশিয়ার দেশগুলো মহামারি-পূর্ববর্তী চাহিদায় নাও ফিরতে পারে। তবে এ অঞ্চলের দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি বাড়তি চাহিদা তৈরি করবে। বিশেষ করে চীন ও ভারতের মতো বৃহৎ জনসংখ্যার দেশগুলো চাহিদার প্রবৃদ্ধিতে ভারসাম্য আনতে ভূমিকা রাখবে।

সান নিউজ/এসএ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

মিয়ানমারের দূতসহ ঢাকায় আসছেন মার্কিন ২ কর্মকর্তা

এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকায় আসছেন মার্কিন প্রশাসন...

গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিল বাটা

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ...

টিভিতে আজকের খেলা

প্রতিদিনের মতো আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) বেশ কিছু খেলা প্রচারিত হবে টেলিভি...

জানা গেল ২০২৫ সালের হজ ফ্লাইট শুরুর তারিখ

এবছর পবিত্র হজের প্রথম ফ্লাইট ২৯ এপ্রিল সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবে।...

নীলফামারীতে বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস অনুষ্ঠিত

‘সাহসী ও দায়িত্বশীল আগামীর প্রজন্ম’ প্...

বগুড়ায় খুন করে হাসপাতালে রেখে গেল লাশ

বগুড়ার শেরপুরে পরকীয়ার জেরে কাবিল হোসেন (৪০) নামের...

ভালুকায় মুখোশধারী নারী নেতৃত্বে সশস্ত্র ডাকাতি

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার কাচিনা গ্রামে এক ভয়াবহ ড...

দেশে বিনিয়োগ সহজ করার লক্ষ্যে কাজ করেছি: প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য এত অনুকূল পরিবেশ এর আগে কখনো ছিল না বলে মন্তব্য করেছ...

'বিমসটেককে গতিশীল করতে চান প্রধান উপদেষ্টা'

আগামী দুই বছরে চেয়ারম্যান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিমসটেককে একটি গতিশীল প্র...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা