আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বৃটেনে পুলিশের হাতে সারাহ ইভারার্ড নামে তরুণী মৃত্যু ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে রাস্তায় নেমেছেন নারীরা। এ ঘটনায় লকডাউনের মধ্যে দেশটিতে শত শত নারী শনিবার বিক্ষোভ করায় পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে। শনিবার দিবাগত রাতে নারীদের বিক্ষোভের সময় সেখানেও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এদিন কয়েকজন নারীকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে ক্লাপহ্যাম কমন এলাকা থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। যার ফলে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে দেশটির মানুষ।
সোমবার (১৫ মার্চ) বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এর পরিপ্রেক্ষিতে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে এক বৈঠক বসার কথা রয়েছে। তিনি নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে ক্রাইম এন্ড জাস্টিস টাস্কফোর্সের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
তিনি বলেছেন, নারীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সহিংসতা রোধের আমাদের ঐক্যবদ্ধ করবে সারাহ ইভারার্ডের মৃত্যু। তিনি বলেন, অভিযোগ যথাযথভাবে শুনা উচিত। বাস্তবতা হলো সারাহ ইভারার্ড এর কি ঘটেছিলো উত্তর খুঁজে পেতে আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করা। তিনি আরও বলেন, সরকার হিসাবে মূল সমস্যাটি আমাদের সমাধান করতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৩রা মার্চ সারাহ ইভারার্ড নামে এক তরুণী বন্ধুর বাড়ি থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হন। পরে কেন্টের উডল্যান্ডের একটি জঙ্গলে তার মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় অপহরণ ও খুনের অভিযোগ উঠেছে ৪৮ বছর বয়সী মেট পুলিশ অফিসার ওয়েন কোজেন্সের বিরুদ্ধে।
এর প্রতিবাদে ও নারীদর নিরাপত্তা চেয়ে গত শনিবার (১৩ মার্চ) দিবাগত রাতে শত শত মানুষ দক্ষিণ লন্ডনের ক্লাপহ্যাম কমনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। কিন্তু পুলিশ লকডাউন আইন অমান্য করার অভিযোগে এখান থেকে ৪ জনকে আটক করে। এঘটনার পর মেট পুলিশের প্রধানের পদত্যাগের দাবি উঠলেও তিনি পদত্যাগ করবেন না।
সান নিউজ/এসএ