আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এশিয়া-প্যাসিফিকে ওয়াশিংটনের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এডমিরাল ফিলিপ ডেভিডসন বলেছেন, আগামী ৬ বছরের মধ্যে তাইওয়ানে আগ্রাসন চালাতে পারে চীন। অর্থাৎ ২০২৭ সালের মধ্যে তারা এই আগ্রাসন চালাবে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
মঙ্গলবার (০৯ মার্চ) তিনি বলেছেন, এশিয়ায় আমেরিকার সামরিক শক্তি সরিয়ে দেয়ার জন্য বেইজিং তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। এর মধ্য দিয়ে তারা তাদের ওই লক্ষ্য পূরণ করতে পারে। এমনিতেই তাইওয়ানের গণতান্ত্রিক ও স্বশাসিত দেশটি অব্যাহতভাবে চীনের কর্তৃত্ববাদী আগ্রাসনের অব্যাহত হুমকিতে রয়েছে।
চীনের কর্মকর্তারা তাইওয়ানকে তাদের মূল ভূখন্ডের অংশ হিসেবে দেখে থাকে। চীন প্রত্যয় ঘোষণা করেছে একদিন ওই ভূখণ্ড তারা ফিরে পাবে।
এ বিষয়ে এডমিরাল ফিলিপ ডেভিডসন বলেছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের নেতৃত্বাধীন শক্তিকে আন্তর্জাতিক নির্দেশ থেকে সরিয়ে দিতে উচ্চাভিলাষী তৎরপরতা বৃদ্ধি করেছে চীন। এতে আমি উদ্বিগ্ন।
ওই ২০৫০ সালের আগেই তাদের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনার একটি অংশ হতে পারে বলে পরিষ্কারভাবে মনে হচ্ছে। আমার মনে হয়, তারা তাইওয়ানে তাদের যে ম্যানিফেস্টো আছে তা এই দশকেই সম্পন্ন করবে। অর্থাৎ আগামী ৬ বছরের মধ্যে তারা এ কাজ করবে বলে ফিলিপ ডেভিডসন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট কমিটির কাছে বলেছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৪৯ সালে গৃহযুদ্ধের শেষে চীন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাইওয়ান। তারপর থেকেই মূল চীনের সঙ্গে অঙ্গীভূত করতে অব্যাহত হুমকির মুখে রয়েছে তারা। তাইওয়ানকে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এখনও তারা যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র এবং সামরিক সমর্থনদাতা। বাণিজ্য যুদ্ধ এবং জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক উষ্ণ করে তুলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
এ কারণে চীনের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি হয়। নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনও তাইওয়ানকে সমর্থন দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত তাইওয়ানের রাষ্ট্রদূতকে বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ১৯৭৯ সালের পর এটা এক বিরল ঘটনা।
সান নিউজ/এসএ