আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেছেন, বিশ্বজুড়ে কীভাবে জৈব-সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটতে পারে, তা দেখার সুযোগ করে দিয়েছে করোনাভাইরাস।
৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে তিনি একথা বলেন। এসময় করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইকে ‘একটি প্রজন্মের যুদ্ধ’ বলে আখ্যায়িত করেন অ্যান্তনিও গুতেরেস।
সে সময় তিনি বিশ্ববাসীকে হুশিয়ার করে বলেন, রাষ্ট্রহীন গোষ্ঠীগুলোর হাতে প্রাণঘাতী জীবাণু অস্ত্র চলে যেতে পারে। তখন তা করোনাভাইরাস রোগের মতোই বিপর্যয় নিয়ে আসতে পারে।
বৈশ্বিক করোনা মহামারীর কারণে বিশ্বে যেসব ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেয়া ভাষণে তিনি সেই তালিকা দেন।
গুতেরেস বলেন, কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) সবার আগে স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করেছে। কিন্তু এই ভাইরাসের প্রভাব আরও সুদূর-প্রসারী।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, এটা জাতিসংঘের নিজেরই অস্তিত্বের লড়াই। আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার বড় হুমকি এই মহামারী। এতে পরিস্থিতিকে সামাজিক অস্থিরতার দিকে নিয়ে যাবে। সহিংসতা বাড়বে। যাতে রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সক্ষমতা খর্ব হয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, এই মহামারী যেভাবে দুর্বলতা ও প্রস্তুতির অভাবের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসছে, তাতে জৈব-সন্ত্রাসী হামলা কীভাবে হতে পারে, তা দেখার একটি সুযোগ করে দিয়েছে। এতে ঝুঁকি আরও বেড়ে গেছে। বিশেষ করে রাষ্ট্রহীন গোষ্ঠীগুলোর হাতে জীবাণু অস্ত্র চলে যেতে পারে, যা দিয়ে তারা সমাজে বিপর্যয় তৈরি করতে পারে।
সন্ত্রাসবাদের হুমকি এখনো রয়ে গেছে বলে জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, বিশ্বের সরকারগুলোর মনোযোগ যখন মহামারী মোকাবেলার দিকে, তখন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো সেই সুযোগ কাজে লাগানোর পথ খুঁজতে পারে। সুত্র: এনডিটিভি।
সান নিউজ/সালি