আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিতর্কিত পূর্ব চীন সাগরে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই নিজেদের নিয়ন্ত্রিত দিয়াওউ দ্বীপপুঞ্জে চীনা পদক্ষেপের মোকাবিলা না করেই সৈন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে যাচ্ছে জাপান। এ খবর জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানে সেনাকাকাস নামে পরিচিত দিয়াওউ দ্বীপপুঞ্জের কাছে আন্তর্জাতিক জলরেখায় নিজেদের উপস্থিতি বাড়িয়েছে চীনা কোস্টগার্ড বাহিনী।
ইয়াহু নিউজ জানিয়েছে, সম্প্রতি একটি নতুন আইন জারি করেছে চীন সরকার। যেটির আওতায় এখন থেকে কোনো বিদেশি জাহাজ চীনা জলসীমায় অবৈধভাবে প্রবেশ করলে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে বেইজিংয়ের আধা সামরিক বাহিনী। সেই প্রেক্ষিতেই সেনা উপস্থিতি বাড়িয়েছে তারা।
জাপানের কোস্টগার্ড জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে এক সপ্তাহের মধ্যে জলসীমায় চীনা বাহিনীর প্রবেশ গত বছরের কোনো একটি মাসের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে।
জাপানের এক কর্মকর্তা বলছেন, চীনের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড দেখে তারা শঙ্কিত এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানানোর পরিকল্পনা সৈন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে যাচ্ছে।
যদি অনুমতি ছাড়া চীনা কোস্টগার্ড বাহিনী সেনাকাকাস জলসীমায় প্রবেশ করে তাহলে আমাদের অভ্যন্তরীণ আইন অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন জাপানি বাহিনী, যোগ করেন তিনি।
পরিস্থিতি ঘোলাটে করার ইচ্ছে জাপানের নেই জানিয়ে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, যুক্তরাজ্য ও কানাডার সহায়তা নিয়ে তারা চীনকে কূটনীতিক চাপে ফেলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবে।
বিতর্কিত দ্বীপটি দীর্ঘদিন ধরেই চীন ও জাপানের মধ্যকার আঞ্চলিক বিরোধের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সান নিউজ/এসএ