আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘ বলছে- শুধু বুধবারে (৩ মার্চ) ৩৮ বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর নির্বিচার হামলায় এদিন দেশটিতে সবচেয়ে বেশি রক্তপাত হয়েছে উদ্বেগ জানিয়েছে সংস্থাটি।
মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের দূত ক্রিস্টিন শার্নার বার্গেনার বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের হতবাক করা ফুটেজ সামনে আসছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বুধবারের হতাহতের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার (৫ মার্চ) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের ডাক দিয়েছে যুক্তরাজ্য। আর যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আরও পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানানো হয়েছে।
নিযুক্ত জাতিসংঘের দূত ক্রিস্টিন শার্নার বার্গেনার জানান, অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০ জন নিহত এবং আরও অনেক মানুষ আহত হয়েছের। তিনি বলেন, একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশ এক নিরস্ত্র স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল কর্মীকে পেটাচ্ছে। আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে রাস্তার ওপর বিক্ষোভকারীকে গুলি করা হয়েছে আর সম্ভবত মেরে ফেলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি কয়েক জন অস্ত্র বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলেছি আর তারা আমাকে যাচাই করেছে, স্পষ্ট নয় কিন্তু মনে হচ্ছে যে পুলিশ ৯ এমএম সাবমেশিনগানের মতো অস্ত্র ব্যবহার করেছে আর তার সঙ্গে তাজা গুলিও।’
গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে ব্যাপক গণ বিক্ষোভ এবং নাগরিক অসহযোগ আন্দোলন চলছে। বিক্ষোভকারীরা সেনা শাসনের অবসান এবং দেশটির নির্বাচিত নেতাদের মুক্তির দাবি করছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দেশটির অভ্যুত্থান এবং বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংস নিপীড়নের নিন্দা জানালেও তা অবজ্ঞা করছে সেনা সরকার।
সান নিউজ/এসএস