আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বৈশ্বিক ভোজ্যতেলের বাজারে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের সুদিন ফিরে এসেছে । আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা থাকায় রফতানিযোগ্য এ পণ্যটির মুল্যবৃদ্ধিসহ প্রবৃদ্ধি অর্জনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় চলতি বছর দেশটিতে পাম অয়েলের মাসিক গড় মজুদের পরিমাণ ১৫ লাখ টনের নিচে থাকবে বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ান পাম অয়েল কাউন্সিল (এমপিওসি)। খবর রয়টার্স।
বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদক ও রফতানিকারক দেশ মালয়েশিয়া। কিন্তু উপযোগী আবহাওয়া ও শ্রমিক সংকটে বিদায়ী বছর দেশটিতে ভোজ্যতেল উৎপাদনের পরিমাণ কম ছিল। ফলে গত বছরের শেষের দিকে মালয়েশিয়ার মজুদের পরিমাণ ১২ লাখ ৭০ হাজার টনে নেমে আসে, যা ছিল ১৩ বছরে সর্বনিম্ন।
চলতি অর্থবছর মালয়েশিয়ায় পাম অয়েল উৎপাদনের পরিমাণ বেশ বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছে এমপিওসি। উৎপাদনের পাশাপাশি এ বছর রফতানিতেও বড় প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছে তারা। ফলে এ বছর মজুদের পরিমাণ সামান্যই বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে রাষ্ট্রীয় এ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এমপিওসির উপ-পরিচালক ফয়সাল ইকবাল সম্প্রতি এক ওয়েবিনারে বলেন, চলতি বছরের প্রথমার্ধে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত পাম অয়েলের বাজার বেশ চাঙ্গা থাকবে। বলতে গেলে বছরব্যাপী এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছর মালয়েশিয়ার পরিশোধন শিল্পে গড়ে ১ কোটি ৫৫ লাখ থেকে ১ কোটি ৫৬ লাখ টনের মতো অপরিশোধিত পাম অয়েল থাকতে পারে। ফলে এবার পরিশোধন কেন্দ্রগুলোও অপরিশোধিত পাম অয়েলের ঘাটতির মুখোমুখি হতে পারে; আমদানির মাধ্যমে যা পূরণ করতে হতে পারে।
এমপিওসির তথ্য মতে, চলতি বছর মালয়েশিয়ার অপরিশোধিত পাম অয়েল উৎপাদনের পরিমাণ ১ কোটি ৯৬ লাখ টনে গিয়ে দাঁড়াতে পারে, যেখানে গত বছর উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৯১ লাখ টন। অন্যদিকে বিশ্বের শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদনকারী দেশ ইন্দোনেশিয়ায় এ বছর উৎপাদন ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৫০ লাখ টন, যেখানে গত বছর ছিল ৪ কোটি ২৩ লাখ টন।
সংস্থার প্রাক্কলন তথ্য অনুযায়ী, এ বছর মালয়েশিয়ার অপরিশোধিত পাম অয়েল রফতানির পরিমাণ ১০ শতাংশ বেড়ে ৪৮ লাখ টনে গিয়ে ঠেকতে পারে। একই সময়ে ইন্দোনেশিয়ায় রফতানির পরিমাণ ১০ শতাংশ কমে যেতে পারে।
সান নিউজ/এসএ