আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরাকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ সময় ১৭৫ বিক্ষোভকারী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। জন আহত হয়েছেন। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের নাসিরিয়া অঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এই খবর দিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
স্থানীয় একটি হাসপাতালের সূত্র বলছে, নিহতদের শরীরে বুলেটের জখম ছিল। বিক্ষোভে পুলিশের ছোড়া টিয়ারগ্যাস ও গুলিতে অন্তত ১২০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া নিরাপত্তাবাহিনীর কমপক্ষে ৫৭ সদস্যও আহত হয়েছেন।
গত রোববার ইরাকের দক্ষিণের নাসিরিয়ায় প্রাদেশিক সরকারের ভবনে হামলার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তারা সরকারি ভবনে ককটেল ও পাথর নিক্ষেপ করেন। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপত্তাবাহিনী টিয়ারগ্যাস ছোড়ে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলে আসা এই সহিংসতা ভয়াবহ রূপ নেয় শুক্রবার সন্ধ্যায়।
ওইদিন বিক্ষোভকারীরা আঞ্চলিক গভর্নরের পদত্যাগ এবং ২০১৯ সালে দেশটিতে দুর্নীতি ও সরকারবিরোধী বিক্ষোভে যারা হতাহত হয়েছেন তাদের ন্যায়বিচারের দাবি তোলেন। পরে পুলিশ সহিংস উপায়ে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা করলে অন্তত পাঁচ বিক্ষোভকারী নিহত ও আরও ১৭৫ জন আহত হন।
গত কয়েক দশকের মধ্যে ইরাকে সর্ববৃহৎ সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে ২০১৯ সালের অক্টোবরে। এই বিক্ষোভ টানা কয়েকমাস ধরে অব্যাহত ছিল। দেশটিতে ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের অবসানের পাশাপাশি দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সরকারের এলিট শ্রেণির কর্মকর্তাদের পদত্যাগের দাবিতে এই বিক্ষোভ গড়ে ওঠে।
বিক্ষোভে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় ৫০০ জনের প্রাণহানি ঘটে। সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ব্যাপক আকার ধারণ করলে দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল মাহদি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
পরে গত বছরের মে মাসে মুস্তফা আল-কাধিমি দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বিক্ষোভে নিহতদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতের অঙ্গীকার করেন। যদিও এখন পর্যন্ত তার এই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখা যায়নি।
সান নিউজ/এসএম