আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সামরিক অভ্যুত্থানের পর বিতর্কের মুখে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলের ফেসবুক পেজ।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুকের নীতিমালা বিষয়ক পরিচালক রাফায়েল ফ্রাঙ্কেল এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সেনাবাহিনী পরিচালিত একটি ফেসবুক পেজও বন্ধ করে দেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
দেশটিতে গত দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে অব্যাহত আছে সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ। সেনাবাহিনী এসব বিক্ষোভ ঠেকাতে নানা হুমকি দিয়ে আসছে শুরু থেকেই। তাদের হয়েও ওই চ্যানেলটি অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করে সম্প্রতি। এ পরিস্থিতিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেসবুক।
এমআরটিভি নামের চ্যানেলটির রোববারের খবরে বলা হয়, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। সংঘাত মানুষের জীবন হুমকির মুখে ফেলবে।
ফেসবুকের নীতিমালা বিষয়ক পরিচালক রাফায়েল ফ্রাঙ্কেল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্সকে বলেন, এমআরটিভি আমাদের বৈশ্বিক নীতিমালা অনুযায়ী সহিংসতা ও উসকানি রোধের নীতিমালাসহ কমিউনিটির মানদণ্ড বারবার লঙ্ঘন করছিল। তাই এমআরটিভির ও এমআরটিভির লাইভ পেজ ফেসবুক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান হয়। আটক করা হয় দেশটির নির্বাচিত নেত্রী অং সান সূ চিসহ দলের শীর্ষ নেতাদের। এরপর থেকেই অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দমাতে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন ও বলপ্রয়োগ হচ্ছে। সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন এবং নতুন নির্বাচনের প্রতিশ্রুতিও জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন ঠেকাতে পারছে না।
এ অবস্থায় সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার আশঙ্কায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী পরিচালিত ‘তাতমাদো ট্রু নিউজ ইনফরমেশন টিম’ নামে একটি ফেসবুক পেজও সরিয়ে নেয় ফেসবুক। তখন ফেসবুকের এক মুখপাত্র বলেন, তাদের বৈশ্বিক নীতিমালা অনুযায়ী মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওই পেজ নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ভুয়া ও মনগড়া তথ্য ছড়িয়ে মানুষকে যাতে বিভ্রান্ত করতে না পারে, সেজন্যই পেজটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সান নিউজ/এসএম