আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ২ মাসে ১০টি মহড়া চালিয়েছে ইরান। এ তথ্য জানিয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ বাকেরি।
তিনি বলেছেন, মার্কিন সরকার এখন যেকোনও মূলে ইরানের পরমাণু সমঝোতায় ফেরার যে চেষ্টা করছে তাতে তার দেশের ইসলামি শাসন ব্যবস্থার শক্তিমত্তা ফুটে উঠেছে। রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) তেহরানের অদূরে কোম নগরীতে বিশিষ্ট আলেম আয়াতুল্লাহ হোসেইন নূরি হামেদানির সঙ্গে সাক্ষাতে এ মন্তব্য করেন তিনি।
জেনারেল বাকেরি বলেন, “সর্বোচ্চ নেতার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে আমরা আজ এমন এক যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি যেখানে শত্রু পশ্চাদপসরণ করতে এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে।” তিনি ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে শত্রুর সর্বগ্রাসী নীতির ব্যর্থতার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ইরানের জনগণ এ দেশের নিহতদের রক্তের বদৌলতে শির উঁচু করে লক্ষ্যপানে এগিয়ে যাচ্ছে।
ইরানের সেনা প্রধান বলেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শাসনামলের শেষ ২ মাসে ইরানের ওপর চাপের মাত্রা এবং মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক তৎপরতা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। সে সময় সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী সারাদেশে ১০টি বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালায়।
তিনি বলেন, এসব মহড়ায় ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও নৌসেনাদের কসরৎ দেখে মার্কিন সামরিক তৎপরতা স্তিমিত হয়ে যায় এবং ইরানের নিরাপত্তা অক্ষুণ্ন থাকে। ইরানের প্রতি ইঞ্চি ভূমির নিরাপত্তা রক্ষা করতে এদেশের সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে বলেও জেনারেল বাকেরি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সান নিউজ/এসএ