ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
বার পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দিলো ইরান। মার্কিন হামলায় দেশটির জাতীয় বীর হিসেবে খ্যাত জেনারেল কাসেম সোলেমানি নিহত হওয়ার পর এই ঘোষণা দিলো ইরান। ২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তির মাধ্যমে যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল, তা আর মানা হবে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়েছে দেশটি।
তেহরানে রবিবার (৫জানুয়ারী) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে জানানো হয়, এখন থেকে পরমাণু শক্তি বৃদ্ধি, উপকরণ সমৃদ্ধকরণ ও উন্নতির ক্ষেত্রে আর কোনও ধরণের সীমাবদ্ধতা রাখবে না ইরান। তবে দেশটির পক্ষ থেকে পারমাণু বিষয়ক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথাও বলা হয়েছে।
২০১৫ সালে ৬ দেশের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি অনুযায়ী ইরান তাদের স্পর্শকাতর পরমাণু কার্যক্রম সীমিত রাখতে সম্মত হয়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র এ চুক্তি একাধিকবার ভঙ্গ করেছে বলে অভিযোগ করে আসছিল এইরান।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাতে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন হামলায় নিহত হন ইরানি রেভ্যুলশনারী গার্ড বাহিনীর এলিট কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেমানি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে সোলেমানিকে হত্যা করা হয় বলে নিশ্চিত করে পেন্টাগন।
এরই মধ্যে হরমুজ প্রণালীতে গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন স্থাপনায় হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান ।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) এক টুইট বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ৫২টি স্থাপনা চিহ্নিত করেছে, যা অত্যন্ত উচ্চপর্যায়ের এবং ইরানের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। যদি তেহরান আক্রমণ করে তাহলে ওইসব স্থাপনা এবং ইরান নিজেও অত্যন্ত দ্রুত ও কঠিন আঘাতের শিকার হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ টুইটের কিছুক্ষণ পরেই যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ওয়েবসাইট হ্যাক করে ‘ইরান সাইবার সিকিউরিটি গ্রুপ হ্যাকার্স’। একইদিন ইরাকের বাগদাদে মার্কিন দূতাবাস ও সালাহউদ্দিন প্রদেশের মার্কিন বিমানঘাঁটিতে একযোগে পাঁচটি রকেট হামলা চালানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সান/ এমইপি