আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগ ছিল, চীনের সঙ্গে পক্ষপাতিত্ব করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বর্তমান জো বাইডেন সরকারের মুখেও এবার শোনা গেল সেই একই কথা।
রোববার (১৫ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউজ দাবি করেছে, মহামারির শুরুর দিকের দিনগুলোতে ঠিক কী ঘটেছিল, সেইসব তথ্য প্রকাশ করতে হবে চীনকে। তাছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তদন্ত নিয়েও তাদের যথেষ্ট প্রশ্ন আছে।
অনেক টালবাহানার পরে অবশেষে সংস্থাটির তদন্তকারী দলকে চীনে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল শি জিনপিংয়ের সরকার। গত এক মাসে উহানের মাংসের বাজার থেকে উহান ইনস্টিটিউটের ভাইরোলজি বিভাগের গবেষণাগার, একাধিক এলাকা ঘুরে দেখছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞেরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন চিনা তদন্তকারী অফিসারেরাও।
চার সপ্তাহব্যাপী তদন্তের পরে এ সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দল জানিয়েছে, উহান ইনস্টিটিউটের ল্যাব থেকে ভাইরাস ছড়ানোর প্রশ্নই নেই। এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। সংস্থাটির ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসাস সম্প্রতি বলেন, করোনার উৎস যা কিছু হতে পারে। সব সম্ভাবনা খোলা রয়েছে।
উহানের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখার সময়ে তদন্তকারী দলের দু'এক জন সদস্যের ব্যক্তিগত প্রতিক্রিয়া প্রকাশ্যে এসেছিল। তা ছিল এরকম- ‘উহান ইনস্টিটিউট বড় প্রতিষ্ঠান। যথেষ্ট সুরক্ষাবিধি রয়েছে। এখান থেকে ভাইরাস ছড়ানোর প্রশ্ন নেই। আগে থেকেই জানতাম।’ উহানের সি-ফুড বাজার নিয়ে কেউ তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য কিছু বলেননি কেউ।
আমেরিকার বরাবরের দাবি, উহানের ল্যাব থেকেই ভাইরাস ছড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তাদের। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান রোববার একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, চীনা সরকারের প্রভাব বর্জিত নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্ত রিপোর্ট চাই।
জবাবে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র বলেছেন, বহুপাক্ষিক সহযোগিতা বন্ধ করে দিয়েছে আমেরিকা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গেও সম্পর্ক খারাপ করেছে। চীন-সহ যে সব দেশ মহামারি পরিস্থিতিতে সংস্থাটির পাশে দাঁড়িয়েছে, এখন তাদের দিকে আঙুল তুলতে পারে না আমেরিকা।
সান নিউজ/এসএস