আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন হুমকি-দমকি এবং সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মতো আঞ্চলিক শক্তির হুমকি মোকাবিলা করে মিত্র দেশ রাশিয়া-চীনের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরতা বাড়াচ্ছে ইরান। ২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট চুক্তি থেকে বের হয়ে আসেন। এরপর ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন যুক্তরাষ্ট্র। এতে ইরানের অর্থনীতি পুরোপুরি ভেঙে মুদ্রাস্ফীতি বিপুলভাবে হ্রাস পায়।
তাই অবস্থা উত্তরণে অর্থনীতির চাকা সচল করতে রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে আরও শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলছে ইরান। পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানাপড়েনের মধ্যেই মস্কো ও বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক জোরালো করছে তেহরান। ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি থেকে সরে আসলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে ইরান বলছে, 'আগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে'।
এরই মধ্যে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন বিতরণে মস্কোর সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে তেহরান। এছাড়া রাশিয়া ও ইরানের রেল কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ পরিবহন করিডোর নিয়ে আলোচনায় বসেছে। এই প্রকল্পটি ভারত ও রাশিয়াকে ইরান, আজারবাইজান ও অন্য দেশ হয়ে সংযুক্ত করবে।
অন্যদিকে, বেইজিংয়ের সঙ্গেও সমানতালে সম্পর্কোন্নয়ন করে যাচ্ছে তেহরান। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে ইরানের ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয় চীন। ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে বেইজিংই প্রথম ইরানের তেল আমদানি করার উদ্যোগ নিয়েছিল। এছাড়া পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে শুরুতেই বেশ সরব হয়ে ছিল রাশিয়া ও চীন।
সান নিউজ/এসএ