আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের শীর্ষ পরমাণুবিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহকে ১ টন ওজনের স্বয়ংক্রিয় গান দিয়ে ইসরায়েলের গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদ হত্যা করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে জিউস ক্রনিক্যাল।
লন্ডন ভিত্তিক ইহুদিদের এই সাপ্তাহিক মুখপত্রটিকে উদ্ধৃত করে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বন্দুকটি ইসরায়েল থেকে টুকরা টুকরা করে গোপনে ইরানে নিয়ে আসা হয়েছে। এতে কাজ করেছে ইসরায়েল এবং ইরানের নাগরিকত্বধারী মোসাদের ২০ এজেন্ট।
বৃহস্পতিবার ( ১১ ফেব্রুয়ারি) এ প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার এ নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে সরকারের মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা কখনোই এ ধরনের বিষয় নিয়ে মন্তব্য করিনি। আমরা আমাদের অবস্থানের কোন পরিবর্তন করিনি।’
ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ হত্যাকাণ্ডের পর এ ঘটনার জন্য সরাসরি ইসরায়েলকে দায়ী করেছিলেন। যে অস্ত্রটি দিয়ে হামলা করা হয়েছে সেটি ইসরায়েলের তৈরি বলে দাবি করেছিলেন তিনি। যদিও এ বিষয়ে তখন কোন মন্তব্য করেনি ইসরায়েল সরকার।
গত ২৭ নভেম্বর তেহরানের কাছে দামাভান্দ এলাকার আবজার্দে এক হামলায় নিহত হন ফাখরিজাদেহ। শুরু থেকেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন একটি স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত মেশিনগান দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছিল বলে দাবি করে আসছিল ইরান। এছাড়াও এর পেছনে ইসরায়েলের সংশ্লিষ্টতাও দাবি করা হচ্ছিল।
সম্প্রতি জিউস নিউজে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০ জন এজেন্টের মোসাদের ওই দলটি অন্তত ৮ মাস ফাখরিজাদেহর উপর নজরদারি রাখার পর হামলা চালিয়েছে। হামলার সময় ২০ জন দেহরক্ষী সঙ্গে থাকলেও তারা কৌশলে তাকে হত্যা করেন।
বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো ইহুদিদের এ পত্রিকাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনার সময় ফাখরিজাদেহর স্ত্রীও সঙ্গে ছিলেন। তবে তাকে এবং দেহরক্ষীদের কোন আঘাত করা হয়নি। বিজ্ঞানীর মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার মাথায় অন্তত ১৩টি বুলেট ছোড়া হয়। অবশ্য এ প্রতিবেদনের সত্যতা নিজের নিশ্চিত করেনি বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
৫৯ বছর বয়সী এই পরমাণু বিজ্ঞানীর নেতৃত্বেই ইরান গোপনে পারমানবিক কর্মসূচি চালিয়ে আসছিল বলে সন্দেহ পশ্চিমা দেশগুলোর। ইসরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি ইরানের এই রহস্যজনক নেতা ২০০৩ সালে স্থগিত হওয়া পারমাণবিক বোমা কর্মসূচি পুনরায় চালুর চেষ্টা করে আসছিলেন। যদিও এমন দাবি বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে আসছিল ইরান।
সান নিউজ/এসএ