ইন্টরন্যাশনাল ডেস্ক:
আগামী জুনের মধ্যে করোনার আক্রান্তের সংখ্যা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে ভারতে। এমন দাবি করেছে মার্কিন সংস্থা বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ।
লকডাউনে চীনের পরিস্থিতি এবং ভারতের অনুন্নত স্বাস্থ্যের কাঠামো, জনসংখ্যা ও ঘনত্বের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
সংস্থাটি আরও বলছে,ভারতের জনসংখ্যা এবং অনুন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য তাড়াতাড়ি লকডাউন তুলে নেয়া সম্ভব হবে না। তা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গড়াতে পারে।
আর এ সময়ের মধ্যে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে।জনসংখ্যা ঘনত্ব দেশটিতে করোনা বিস্তাতে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করবে।
মার্কিন সমীক্ষা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জুন-জুলাই পর্যন্ত কলম্বিয়া, পোল্যান্ড এবং ব্রিটেনেও লকডাউন চলতে পারে। তবে ভারতের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে আরও সময় লাগবে।
এরই মধ্যে এশিয়ার বৃহত্তম মুম্বাইয়ের ধারাবি বস্তিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন মারা গেছেন। বস্তিটিতে বসবাস করে প্রায় ১৫ লাখের মানুষ। প্রতি বর্গকিলোমিটারে মানুষের ঘনত্ব প্রায় তিন লাখ। যা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের চেয়ে তিনগুণ বেশি।
ভারতের চিকিৎসকরা সতর্ক করে বলেছেন, ভারতের অসংখ্য বস্তির একটিতেও যদি করোনার স্থায়ী প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় তাহলে পরিস্থিতি একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
কারণ ভারতের অধিকাংশ বস্তিতে স্যানিটেশন এবং বিশুদ্ধ পানির সুব্যবস্থা নেই। এছাড়া হাজার হাজার মানুষ গাদাগাদি করে সেখানে জীবন-যাপন করেন। এসব বস্তিতে সামাজিক দূরত্ব শারীরিক কিংবা অর্থনৈতিকভাবে বজায় রাখা প্রায় অসম্ভব।
ধারাবি বস্তিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে একজন মারা যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো ভারত জুড়ে।
ভারতে লকডাউন না মানলে কঠোর শাস্তি : করোনা প্রতিরোধে ২৪ মার্চ থেকে ভারতজুড়ে চলছে তিন সপ্তাহের লকডাউন।