আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের উত্তরখণ্ডের জোশিমঠের চামোলি জেলায় তুষারধসের ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে ৬ জন। এখনো নিঁখোজ রয়েছে ১৭০ জন। তার মধ্যে এনটিসিপি প্লান্টের শ্রমিক ১৪৮ জন। আর আর ঋষিগঙ্গা প্লান্টের ২২ জন। খবর এনডিটিভি ও টাইম অব ইন্ডিয়ার।
স্রোতের তোড়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকার পাঁচটি ব্রিজ ভেসে গেছে। বাড়ি-ঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হঠাৎ পাহাড়ি ঢল ও বন্যার আশঙ্কায় অনেক গ্রাম থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তীব্র স্রোতের তোড়ে ঋষিগঙ্গার হাইড্রো পাওয়ার প্রজেক্ট ভেসে গেছে।
তিন বাহিনীর সমন্বয়ে চলছে উদ্ধারকাজ। একটি টানেলের মধ্যে আটকে পড়া ১২ শ্রমিককে ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। আরেকটি টানেলের মধ্যে ৩০ জন আটকা পড়েছে। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
যারা মারা গেছে তাদের পরিবারকে ৪ লাখ রূপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন উত্তরখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিভেন্দ্র সিং রাওয়াত। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ত্রাণ তহবিল থেকে আরো ২ লাখ করে রূপি দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তাদের ৫০ হাজার রূপি দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গেল ৪, ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি ওই এলাকায় চলছিল বৃষ্টিপাত। সঙ্গে তুষারপাতও। তারই মধ্যে শনিবার দিবাগত ১০ টা ৫৫ মিনিটে ভাঙে জোশীমঠে নন্দাদেবীর হিমবাহ। রোববার সকালে সেই ধস আরও ভয়াবহ আকার নেয়। হিমবাহ ভেঙে পড়ার পর প্রবল তোড়ে স্রোত নেমে আসতে শুরু করে।
সান নিউজ/এম