আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। একই সঙ্গে ১৫ সদস্যের পরিষদ মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ দেশটির সরকার ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের নির্বিচারে আটকের ঘটনায় অবিলম্বে মুক্তিও দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদ বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) একটি বিবৃতি দিয়েছে। মিয়ানমারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু চীন ও রাশিয়া তাদের অবস্থান পরিবর্তন করায় শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদ এই বিবৃতি দিয়েছে।
কূটনীতিকরা বলেছেন, জাতিসংঘে মিয়ানমারের প্রধান সমর্থক চীন এবং রাশিয়া ভেটো দেয়ায় নিরাপত্তা পরিষদের মিয়ানমার সেনাদের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবের জন্য আরও সময় লাগবে। ওই বিবৃতিতে মিয়ামনারে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফেরার জন্য সংলাপে বসার প্রতি সমর্থন জানানো হয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদের এমন বিবৃতি প্রসঙ্গে জাতিসংঘে নিয়োজিত এক কূটনৈতিক বলেন, কোনো বার্তা না দেয়ার চেয়ে কিছু বার্তা দেয়া উত্তম। চীনের কারণে নিন্দা পাসের সম্মতি অসম্ভব।
চীনের কমিউনিস্ট নেতারা মিয়ানমারের অভ্যুত্থানে 'ধীরে চলো' নীতি গ্রহণ করেছে। তারা মিয়ানমারের উভয়পক্ষকে মতপার্থক্য দূর করার আহ্বান জানিয়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সামরিক অভ্যুত্থানকে 'মন্ত্রীসভার বড় রদবদল' হিসেবে উল্লেখ করেছে।
মিয়ানমার চীনের সুবিশাল বেল্ট অ্যান্ড রোড অবকাঠামো উদ্যোগের অন্যতম অংশীদার। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেন মিয়ানমারে দ্রুত গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অস্ট্রেলিয়া মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছে।
গত সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থান করে। সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডির নির্বাচিত সরকার উৎখাত করে তারা ক্ষমতা দখল করে। মিয়ানমারের সেনা কর্তৃপক্ষ দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে। পাশাপাশি সু চিসহ দেশটির শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করেছে সেনা সদস্যরা।
সান নিউজ/এসএস