আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সেনা অভ্যুত্থানে মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চির দুই বছরের জেল হতে পারে। অবৈধভাবে আমদানি করা ওয়াকিটকি নিজের কাছে রাখার দায়ে করা মামলায় সু চিকে সাজা খাটতে হতে পারে।
বুধবার গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, আমদানি ও রপ্তানি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সু চি’র বিরুদ্ধে করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার দুই বছর কারাদণ্ড হতে পারে।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, রাজধানী নেপিদোতে সু চি’র বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় ওয়াকিটকি পাওয়া যায়। এগুলো অনুমোদনহীন ও অবৈধভাবে আমদানি করা হয়েছে। সু চি’র দেহরক্ষীরা এগুলো আমদানি করেছিল। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সু চি’র দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
এদিকে দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টের বিরুদ্ধে করোনার বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অভিযোগ এনেছে সেনাবাহিনী।
গত ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি উইন মিন্ত, ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি-সহ শাসকদলের শীর্ষ কয়েকজন নেতা এবং কয়েকশ আইনপ্রণেতাকে আটক করে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী।
মিয়ানমারে গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। তবে, এ ফলাফল নিয়ে মিয়ানমারের বেসামরিক সরকার এবং প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর মধ্যে কয়েকদিন ধরে দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা চলতে থাকায় এ সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে।
সান নিউজ/আরআই