আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীন এবং রাশিয়া মিয়ানমারের সেনা শাসকদের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে উত্থাপিত যৌথ বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করে সেনা শাসকদের পক্ষে সাফাই গাইছে বিশ্ব রাজনীতির দুই প্রভাবশালী দেশ।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিবিসি এবং ফ্রেঞ্চ ২৪ জানিয়েছে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠকে বসেছিল। সেখানে যৌথ বিবৃতির বিষয়ে আলোচনা হলে চীন এবং রাশিয়া সমর্থন করেনি। নিরাপত্তা পরিষদ থেকে কোনও দেশের বিরুদ্ধে যৌথ বিবৃতির জন্য চীনের সমর্থন লাগে। দেশটি পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ায় ভেটো ক্ষমতার অধিকারী।
আলোচনার আগে মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি ক্রিস্টিন সরনার সেনা অভ্যুত্থানের কঠোর সমালোচনা করেন। ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতি হয়েছে দাবি করে সোমবার নতুন সংসদ অধিবেশন স্থগিত করে দেশটির সামরিক বাহিনী।
তবে গত সপ্তাহে সেনাবাহিনীর এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ইউনিয়ন নির্বাচন কমিশন। পনেরো বছরের গৃহ বন্দিত্বের অবসানের পর ২০১০ সালে মুক্তি পেয়েছিলেন অং সান সু চি, তার ১০ বছর কাটতে না কাটতেই আবারও বন্দি করা হল তাকে।
জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি ক্রিস্টিন সরনার বলছেন, ‘নির্বাচনে সু চির দলের বিশাল জয় হয়েছে। এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।’সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে মিয়ানমারের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা বুধবার থেকে ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছেন।
চিকিৎসকেরা সু চির মুক্তি দাবিতে বুধবার থেকে কাজ বন্ধ রাখবেন বলে জানিয়েছেন। কিছু চিকিৎসাকর্মী নীরব প্রতিবাদ জানাতে বিশেষ প্রতীক ব্যবহার করছেন।
গত সোমবার ভোরে আটকের পর থেকে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি কোথায় আছেন, তা নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে এনএলডির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্রে জানা গেছে, সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।
সান নিউজ/এসএ