আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাকালীন গত এক বছরে বিশ্বব্যাপী ২২ হাজার কোটিরও বেশি মাস্ক রফতানি করেছে চীন। শুক্রবার দেশটির বাণিজ্য উপমন্ত্রী কিয়ান কেমিং সাংবাদিকদের বলেন, মাস্ক ছাড়াও চীন ২৩০ কোটি পিস ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী ও ১০০ কোটি টেস্ট কিট রফতানি করেছে, যা বৈশ্বিকভাবে মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
রফতানি হওয়া এ সংখ্যা চীনের বাইরে জনপ্রতি ৪০টি মাস্কের সমতুল্য। মূলত নভেল করোনা ভাইরাস মহামারী থেকে বাঁচতে সুরক্ষা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে মাস্ক অপরিহার্য হয়ে ওঠার কারণে চাহিদায় এমন ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। খবর এএফপি।
২০২০ সালের শুরুর দিকে করোনার কারণে চীনের অর্থনীতি কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছিল এবং প্রবৃদ্ধিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। কিন্তু এর পরও অর্থনৈতিকভাবে দেশটির দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে চালক হিসেবে কাজ করেছে নজিরবিহীন এই মাস্ক রফতানি।
কাস্টমস অফিস থেকে বলা হয়, কেবল মাস্কের শিপমেন্ট থেকে এসেছে ৩৪ হাজার কোটি ইউয়ান বা ৫ হাজার ২৬০ কোটি ডলার। অফিসের মুখপাত্র লি কিয়াওয়েন বলেন, যে পরিমাণ মাস্ক রফতানি হয়েছে, তা চীনের বাইরে প্রতিজন মানুষকে ৪০টি করে মাস্ক সরবরাহ করার সমতুল্য।
চীন থেকেই মূলত শুরু হয়েছিল নভেল করোনা ভাইরাসের ধ্বংসাত্মক যাত্রা। কিন্তু চীনই আবার প্রথম দেশ, যারা লকডাউন এবং সুরক্ষাবিধি আরোপ করার মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২০ সালে প্রধান অর্থনীতিগুলোর মাঝে একমাত্র চীন প্রবৃদ্ধি দেখেছে।
যদিও শুক্রবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা চু শিজিয়া বলেন, চীন চলতি বছর এখনো বৈদেশিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মারাত্মক ও জটিল পরিবেশের মুখোমুখি হচ্ছে।
সান নিউজ/এসএ