ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
ভারতের দিল্লির নিজামুদ্দিনে সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তাবলীগ জামাতের আয়োজিত এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রায় ২ হাজার মানুষের জমায়েত হয়। পরবর্তীতে ধর্মীয় এ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া অন্তত চারশো জনের শরীরে পাওয়া গিয়েছে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি। এরিমধ্যে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১ জন।
দেশজুড়ে ধর্মীয় এ অনুষ্ঠানের সমালোচনা উঠার পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন জামাতের প্রধান ৫৬ বছর বয়সী মৌলানা সাদ কান্দালভি। করোনাভাইরাসের মহামারির প্রেক্ষিতে দেওয়া সরকারের নির্দেশ অমান্য করে সমাবেশ করায় মাওলানা সাদসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ।
তবে আত্মগোপনে থাকলেও নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন তিনি। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি মৌলানা সাদের প্রকাশিত অডিও বার্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, কোয়ারেন্টিনে আছেন মৌলানা সাদ।
বুধবার (১ এপ্রিল) তার দুটি অডিও ক্লিপ প্রকাশিত হয়। তাতে সাদ দাবি করেন, তিনি দিল্লিতেই রয়েছেন। এক চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে তিনি নিজেকে আইসোলেশনে রেখেছেন।
অবশ্য ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, তিনিও করোনায় আক্রান্ত এবং তাকে খুঁজছে দিল্লি পুলিশ।
পুলিশের অভিযোগ, মার্কাজ নিজামুদ্দিনে মানুষকে জমায়েত হতে উৎসাহ দিয়েছেন মৌলানা সাদ। দূরত্ব বজায় রাখা ও বড় জমায়েতে সরকারি নিষেধাজ্ঞার সময় তিনি এই কাজ করেন। এমনকি তিনি বাড়ি খালি করে দেয়ার দুটি পুলিশি প্রজ্ঞাপনও অগ্রাহ্য করেন।
মার্কাজ ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত প্রথম অডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, তার অনুগামীদের কোনও ক্ষতি করতে পারবে না করোনাভাইরাস।
তবে দ্বিতীয় ক্লিপে যেন কথার সুর পাল্টেছেন জামাতের প্রধান মৌলানা সাদ। সেখানে তিনি বলেন, 'এখন আমাদের সরকারের সকল গাইডলাইন মেনে চলতে হবে এবং বড় জমায়েত এড়িয়ে চলতে হবে।' তিনি বলেন, 'নিঃসন্দেহে সারা বিশ্বে যা হচ্ছে তা মানবতার অপরাধের ফল। আমাদের বাড়িতে থাকা উচিত।'
দ্বিতীয় ক্লিপে তিনি আরো বলেন, 'যেখানেই আমাদের সদস্যরা রয়েছেন, তারা যেন প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলেন।' তিনি বলেন, 'নিজেকে কোয়ারেন্টাইন করে রাখুন, যেখানেই থাকুন না কেন। এটা ইসলাম বা শরিয়তের বিরোধী নয়।'