আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সমগ্র ভারতের কৃষক সমাজ কেন্দ্রীয় সরকার প্রণীত তিনটি কৃষি আইনের প্রতিবাদে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। তাদের ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে শনিবার ৩০ জানুয়ারি থেকে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছিলেন বর্ষীয়ান মানবাধিকারকর্মী আন্না হাজারে।
শুক্রবার ( ২৯ জানুয়ারি) আগের দিনের ঘোষিত কর্মসূচীর থেকে সরে এসেছেন তিনি। জ্যেষ্ঠ বিজেপি নেতা এবং মহারাষ্ট্র রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবিশের উপস্থিতিতে এ ঘোষণা দেন আন্না হাজারে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি বহুদিন ধরে নানা ইস্যুতে আন্দোলন করে আসছি। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কোনও অপরাধ নয়...আমি কৃষকদের ইস্যুগুলো ৩ বছর ধরেই তুলছি...শস্যের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার কারণে তারা আত্মহত্যা করছেন...সরকার কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) ৫০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি চিঠি পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, কেন্দ্র যেহেতু ১৫টি ইস্যু (কৃষকদের জন্য তার দাবি) নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেহেতু আমি শনিবারের অনশনের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছি। চলতি মাসের শুরুর দিকে ৮৩ বছর বয়সী গান্ধীবাদী এ সমাজকর্মী কৃষকদের দাবি দাওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি লেখেন।
সেই চিঠিতেই তিনি লেখেন, দাবি আদায় না হলে জানুয়ারির শেষ নাগাদ তিনি তার জীবনের শেষ অনশন শুরু করবেন। আন্না হাজারে সাংবাদিকদের আরও বলেন, রাজধানীর কাছে কয়েক সপ্তাহ ধরে হাজার হাজার কৃষক নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন বিক্ষোভ করছেন সেটি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না।
ভারতের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে লাগাতার অনশন শুরু করে আলোচনায় আসেন আন্না হাজারে। ন্যায়পাল নিয়োগের দাবিতে ২০১১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রাজধানী নয়াদিল্লিতে তার অনশন কর্মসূচিতে যোগ দেয় হাজার হাজার মানুষ। শেষ পর্যন্ত সরকার তার দাবি মেনে নেয়।
চলতি মাসের শুরুর দিকে আন্না হাজারে বলেন, তিনি কৃষকদের দাবি দাওয়া নিয়ে দিল্লির রামলীলা ময়দানে বিক্ষোভ কর্মসূচির অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে চিঠি লিখেছিলেন। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাড়া মেলেনি। সবশেষ তিনি সামগ্রিক জনগোষ্ঠীর ন্যায্য দাবির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারের পক্ষেই অবস্থান নিলেন। সূত্র: এনডিটিভি।
সান নিউজ/এসএ