আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পোল্যান্ড সরকার নতুন আইন করে গর্ভপাত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে। সরকারের এই নীতির বিরোধীতা করে প্রতিবাদে বিক্ষোভে রাস্তায় নেমেছে সেখানকার সাধারণ মানুষ।
নতুন আইনে বলা হয়েছে ধর্ষণ বা মায়ের প্রাণহানির মতো গুরুতর ঘটনা ঘটলে তবেই গর্ভপাত করানো যাবে, নতুবা নয়। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ আন্দোলনে ঝড় তুলেছে সাধারণ মানুষ।
বিক্ষোভে উত্তাল পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ। বিক্ষোভকারীদের দাবি- গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত হওয়া উচিত। রাষ্ট্র কোনোভাবেই এতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কোনও দম্পতি বা বাবা মা যদি চান গর্ভপাত করাতে, তবে সেই অধিকার তাদেরই থাকা উচিত।
প্রতিবাদকারীরা শ্লোগান তোলেন,‘আই থিংক, আই ফিল, আই ডিসাইড’। অর্থাৎ আমি ভাবব, আমি অনুভব করব, আমিই সিদ্ধান্ত নেব। তবে এই বিক্ষোভের পর সুর কিছুটা নরম করে সরকার। জানিয়ে দেওয়া হয়, গর্ভস্থ ভ্রুণ যদি অসুস্থ হয়, তবে গর্ভপাত করানো অসাংবিধানিক। সেক্ষেত্রে মায়ের প্রাণ সংশয়কে গুরুত্ব দিতে হবে ও পরিস্থিতি বিচার করতে হবে।
ওয়ারশর রাস্তায় প্রতিবাদে সামিল ছিলেন প্রচুর নারী। ওয়ারশর কনস্টিটিউশনাল কোর্টের সামনে প্রতিবাদ জানান নারীরা। পোল্যাণ্ডের মানবাধিকার কমিশনও গর্ভপাত আইনের বিরোধিতা করেছে। তাদের মতে, সরকার নারী বিরোধী। এটা এক ধরনের অত্যাচার ছাড়া আর কিছুই না।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) ওয়ারশর রাস্তায় প্রতিবাদে নামেন নারীরা। লাল মশাল হাতে প্রতিবাদ শুরু করেন তারা। তাদের দাবি, নারীদের অবদমন করার জন্যই সরকারের এই সিদ্ধান্ত। পোল্যান্ডের বিরোধী দলগুলিও সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। বাম দলের নেত্রী ওয়ান্ডা নোওইকা জানান, নারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে রাষ্ট্র। কোনোদিন সেই যুদ্ধে জিততে পারবে না সরকার।
সান নিউজ/এসএ