আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাইডেন প্রশাসন বুধবার (২৭ সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে সৌদির কাছে ক্ষেপণাস্ত্র ও আমিরাতের কাছে এফ-থার্টি ভাইভ ফাইটার জেট বিক্রি। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি ও আমিরাতের সঙ্গে যে অস্ত্র বাণিজ্য করেছিলেন তা যাচাই করে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন প্রশাসন সাধারণত এ ধরনের যাচাই করে থাকে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ব্লিংকেন বলেন, ‘আমাদের কৌশলগত লক্ষ্য ও পররাষ্ট্র নীতিকে প্রসারিত হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত হতে এই যাচাই। এ মুহূর্তে আমরা এটাই করছি।’
বাইডেনের অভিষেকের এক সপ্তাহ পর তার প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিল। ওয়াশিংটনের সঙ্গে রিয়াদের সম্পর্ক পুননির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাইডেন। দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি ট্রাম্পের নীতি যাচাই বা পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে অনেকগুলো নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন।
ট্রাম্প তার শাসনামলে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। ইসরায়েলকে সমর্থন দেয়া ও ইরানের বিরুদ্ধের ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের উদ্দেশ্যে এই অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন তিনি।
২০১৯ এর মে মাসে ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে ট্রাম্প জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করেন। তখন কংগ্রেসের আপত্তি সত্ত্বেও তিনি সৌদি, আমিরাত ও জর্ডানের কাছে আটশ কোটি ডলার অস্ত্র বিক্রির উদ্যোগ নেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে ট্রাম্প প্রশাসন সৌদিতে ২৯ কোটি ডলারের হালকা অস্ত্র বিক্রির অনুমোদনও দিয়ে যায়।
গত বছরের নভেম্বরে ট্রাম্প প্রশাসন কংগ্রেসে জানায় তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে এফ-থার্টি ফাইভ ফাইটার জেট ও ড্রোনসহ বিভিন্ন উন্নত অস্ত্র বিক্রির জন্য দুই হাজার তিনশ কোটি ডলারের চুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছে। আমিরাত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্মত হওয়ার পরপরই অস্ত্র বিক্রির এই ঘোষণা আসে।
সান নিউজ/এম