আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলে অসন্তুষ্টরা স্থানীয় পর্যায়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে পারে এমন আশঙ্কায় ‘তীব্র হুমকির’ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিভাগ।
ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বুধবার এক বুলেটিনে জানায়, ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল ভবনে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলা কিছু চরমপন্থীদের উৎসাহিত করে থাকতে পারে।
সরকারের কর্মকাণ্ডে হতাশ ব্যক্তিদের কাছ থেকে হুমকির সতর্কতা জানানো হয় বুলেটিনে। তবে এ সংক্রান্ত কোনো নির্দিষ্ট ষড়যন্ত্রের তথ্য পাওয়া যায়নি বলেও বুলেটিনে উল্লেখ করা হয়।
সফল প্রেসিডেনশিয়াল অভিষেকের পর সামনের সপ্তাহগুলিতে হুমকির আশঙ্কা রয়েছে বলে বুধবারের বুলেটিনে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, ‘তথ্য থেকে জানা যায়, আদর্শগতভাবে উদ্বুদ্ধ কিছু সহিংস চরমপন্থীরা সরকারের কর্মকাণ্ড ও প্রেসিডেন্ট পদের পরিবর্তন এবং মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে উস্কানী পাওয়া অন্যান্য অসন্তোষের কারণে সংঘবদ্ধ হয়ে অস্তিরতা বা সহিংসতা চালাতে পারে।’
বুলেটিনে বলা হয়, কিছু স্থানীয় চরমপন্থী ক্যাপিটল ভবনের ঘটনার মাধ্যমে নির্বাচিত কর্মকর্তা ও সরকারি সম্পত্তির প্রতি হামলা চালাতে উৎসাহিত হয়ে থাকতে পারে।
গত এক বছরের মধ্যে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ থেকে এই প্রথম কোনো সতর্কতা জারি করা হল।
উল্লেখ্য, কংগ্রেসে জো বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেয়ার সময় ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালায় ট্রাম্প সমর্থকরা। এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বারবার দাবি করতে থাকেন যে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জালিয়াতির মাধ্যমে বাইডেন জয় পেয়েছেন।
সমর্থকদের প্রতি তিনি বলেন, ‘তোমরা যদি তীব্র লড়াই না কর তাহলে তোমাদের আর কোনো দেশ থাকবে না।’
এরপর ট্রাম্প সমর্থকরা ক্যাপিটল ভবনের দিকে এগিয়ে যায়, নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধায় এবং ভবনে ঢুকে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এ ঘটনায় একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোট পাঁচজন নিহত হন।
নজিরবিহীন এই হামলার ঘটনায় মার্কিন জনগণ স্তব্ধ হয়ে পড়ে। হামলায় জড়িতদের গ্রেফতারে দ্রুত তৎপর হয়ে ওঠে নিরাপত্তাবাহিনী। প্রসিকিউটররা জানান তারা এখন পর্যন্ত হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সম্ভাব্য ৪০০ ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছেন ও ১৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সান নিউজ/এসএম