ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
করোনার সংক্রমণ রোধে পুরো ভারতকে ২১ দিনের লকডাউন করা হয়েছে। তাই ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছানোর সুবিধার্থে উত্তর প্রদেশ সরকার চালু করেছে জরুরি হেল্পলাইন সেবা। লকডাউনের এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের এই নম্বরে ফোন করে অনেকেই সুবিধা পাচ্ছেন। কিন্তু এই অবস্থাতেও এক ব্যক্তি হেল্পলাইনে কল করে চেয়ে বসলেন সমুচা।
করোনাভাইরাসের সংকটময় দিনে এমন উদ্ভট ফোনে বিরক্ত হন হেল্পলাইনে সংশ্লিষ্টরা। সেটা ঐ ব্যক্তির কাছে প্রকাশও করেন। কিন্তু তাতেও দমেনি ঐ ব্যক্তি, সমুসার জন্য বারবার ফোন দিতে থাকেন হেল্পলাইনে।
শেষে অতিষ্ঠ হয়ে তারা ঠিক করেন, ওই ব্যক্তির কাছে সমুচা পৌঁছে দেওয়া হবে। তবে তার সাথে দেয়া হবে কঠিন শিক্ষাও, যাতে এমন ফাজলামি করার কেউ সাহস না পায়।
রামপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জনেয়া কুমার সিং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে জানান, "ওই ব্যক্তি সমুচা চেয়ে ফোন করলে তাকে মানা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোনের পর ফোন করে যেতে থাকেন। আর বারবারই তাকে সমুচা দেওয়ার জন্য বলতে থাকেন। সতর্ক করার পরও যখন তিনি থামেননি, তখন তার জন্য সমুচা পাঠানো হয়। তবে শাস্তি হিসেবে তাকে বাসার পাশের ড্রেন পরিষ্কার করতে হয়। ওই লোকের ড্রেন পরিষ্কার করার একটি ছবিও জুড়ে দেওয়া হয় টুইটারে।"
ছবি আর কাহিনীটি প্রকাশ পেতেই সেই টুইট সমর্থন করে লাইক বাটনে ক্লিক করেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। অনেকেই এমন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।
এদিকে, এই কাহিনী প্রকাশের মাধ্যমে রামপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দুর্যোগের সময় সবাইকে সচেতন এবং দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান।
ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এপর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৯০ জন। যাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৪৮ জন।