আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের কৃষকদের কাছে বিতর্কিত নতুন তিন কৃষি আইন নিয়ে সোমবার সরকারকে ভৎসনা করেছেন সুপ্রিমকোর্ট। তবে কৃষি আইন নিয়ে সুপ্রিমকোর্ট যে মধ্যস্থতাকারী কমিটি গড়ার প্রস্তাব দিয়েছে, তা ইতিমধ্যে খারিজ করে দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলো।
মঙ্গলবার ( ১২ জানুয়ারি) এ বিষয়ে রায় দেবেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। সোমবারই শুনানির সময় আদালত বলেছিলেন, কৃষি আইন নিয়ে যতগুলো হলফনামা জমা পড়েছে, তাদের কাছে, তার একটাতেও এই তিন আইনের পক্ষে কিছু বলা হয়নি।
এ পরিস্থিতিতে সুপ্রিমকোর্ট মঙ্গলবার কী রায় দেয়, সেদিকে নজর সবার। রায় কৃষকদের অনুকূলে গেলে নয়াদিল্লির উপকণ্ঠে বিক্ষোভ শুরু হবে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
এরই মধ্যে নয়া কৃষি আইনের প্রতিবাদে আগামী ২৬ জানুয়ারি দিল্লির রাস্তায় আন্দোলনকারী কৃষকরা ট্রাক্টর র্যালি করার পরিকল্পনা করেছিলেন। তা আটকাতেও দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় সরকার।
সুপ্রিমকোর্টে কেন্দ্র যে হলফনামা জমা দিয়েছে, তাতে ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের ঐতিহাসিক গুরুত্ব, সাংবিধানিক গুরুত্বের দিকটি উল্লেখ করা হয়েছে। ২৬ জানুয়ারি সেই অনুষ্ঠানের আগে ২৩ জানুয়ারি রয়েছে মহড়া।
২৮ জানুয়ারি এনসিসির র্যালি, ৩০ জানুয়ারি শহীদ দিবস। প্রজাতন্ত্র দিবসের পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানগুলোর উল্লেখ করে কেন্দ্র বলেছে, অনুষ্ঠানগুলোতে বাধা দেওয়া শুধু আইন ভাঙা বা সরকারি নির্দেশ অমান্য করা নয়; তা জাতির কাছেও অস্বস্তির।
কৃষি আইন সংক্রান্ত একাধিক মামলা হয়েছে সুপ্রিমকোর্টে। সেখানে দেশের শীর্ষ আদালতে ট্রাক্টর র্যালির বিষয়টি উল্লেখ করে কেন্দ্র। সোমবার কৃষি আইনের বিরুদ্ধে শুনানিতে সুপ্রিমকোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রকে।
কৃষক বিদ্রোহ থামাতে কেন্দ্রের সদিচ্ছার অভাব, আইন প্রণয়নে একগুঁয়েমি বিষয়টি উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে। প্রধান বিচারপতি বলেন, কৃষি আইন রোধ করতে কেন কোনও সাড়া নেই? কেন্দ্র এই আইন বাতিল করতে রাজি হলে তবেই আমরা কৃষকদের আলোচনার টেবিলে বসতে বলব।
স্পষ্ট করে বলুন, আপনারা রোধ করবেন, নাকি আদালত করবেন? আমরা বুঝতে পারছি না, কেন যে কোনও প্রকারে এই আইন চালু করতে চাইছে সরকার।
সান নিউজ/এসএ