আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নদীর পাড়ে খোঁড়াখুঁড়ি করলেই মিলছে সোনা ও রুপার মুদ্রা, এমন খবরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের রাজগড় জেলায়। স্থানীয় পার্বতী নদীর তীরবর্তী এলাকায় রীতিমতো তাঁবু খাটিয়ে বসবাস করতে শুরু করেছেন বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা। নদীর মাটি খোঁড়ার কাজও চলছে দিনরাত। তবে প্রশাসনের লোকরা বলছেন, গুজবের জেরেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
কয়েকদিন আগে পার্বতী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে পাড় থেকে পুরোনো কিছু মুদ্রা খুঁজে পেয়েছিলেন রাজগড় জেলার শিবপুরা ও গরুড়পুরা গ্রামের মৎস্যজীবীরা। ওই মুদ্রাগুলো মোঘল আমলের বলে তারা ধারণা করেন। ওই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই পার্বতী নদীর পাড়ে দলে দলে লোক জমে যায়। শুরু হয় নদীর পাড়ে মাটি খোঁড়ার কাজ। খবর পেয়ে ভোপাল শহর থেকে ১৪১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ওই এলাকায় আসতে শুরু করেন অন্য জেলার লোকও। এখনো সেখানে লোকজন এসে মাটি খুঁড়ে গুপ্তধন খঁজছেন।
রাজগড় জেলার অনেক লোকের বিশ্বাস, পার্বতী নদীর পাড়ে অবস্থিত ওই এলাকায় পুরোনো কোনো গুপ্তধন রয়েছে। কয়েকজন মৎস্যজীবী তার খুবই সামান্য অংশ হাতে পেয়েছেন। যদি ঠিকঠাক জায়গার মাটি খোঁড়া হয়, তাহলে প্রচুর ধনসম্পত্তি পাওয়া যাবে। তাই যত দিন যাতে ওই এলাকায় মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। আট থেকে আশি, সকাল থেকেই সমস্ত কাজ ফেলে গুপ্তধন খোঁজার কাজ করছে।
এ বিষয়ে রাজগড়ের পুলিশ সুপার প্রদীপ শর্মা বলেন, ‘ওই এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে কোনো অবনতি না হয়, আমরা তার জন্য কড়া নজরদারি চালাচ্ছি। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টাও খেয়াল রাখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মৎস্যজীবীরা যে প্রাচীন মুদ্রাগুলো পেয়েছে, সেগুলো ব্রোঞ্জের বলে জানা গেছে। কিন্তু তারপরও মানুষ সোনা ও রুপোর মুদ্রাসহ গুপ্তধনের খোঁজে মাটি খুঁড়ছে। প্রচুর ভিড় হওয়ায় করোনা সংক্রমণের আশঙ্কাও রয়েছে।’
সান নিউজ/এস