আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইয়েমেনের হাউছি বাহিনীর আক্রমণের ভয়ে ইসরাইল দক্ষিণের ইলাত শহর জুড়ে আয়রন ডোম ও প্যাট্রিয়ট বিমান প্রতিরক্ষা ব্যাটারি মোতায়েন করেছে।
ইসরাইলি সম্প্রচারক কান-এর গত সপ্তাহের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান সমর্থিত ইরাকি মিলিশিয়া ও হাউছিদের আক্রমণের আশঙ্কায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের জেনারেল কাশেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রথম বর্ষপূর্তি ও অতি সম্প্রতি গত নভেম্বরে ইরানি নিউক্লিয়ার বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহকে উদ্দেশ্যমূলক হত্যার পর এ আশঙ্কা আরো বেড়ে যায়। বিজ্ঞানী হত্যার জন্য ইসরাইলকে দুষছে তেহরান। দেশটি এ ঘটনার প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।
গত মাসে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র হিদাই জিলবারম্যান একটি সৌদি সংবাদ আউটলেটকে জানায়, ইসরাইলি গোয়েন্দারা জানিয়েছে ইরান সরকার ইরাক ও ইয়েমেনে এমন ড্রোন ও ‘স্মার্ট অস্ত্র’ প্রস্তুত করছে যেগুলো ইসরাইলে আঘাত হানতে সক্ষম।
এ সপ্তাহে ইরানি সেনাবাহিনী বৃহত্তর পরিসরে ড্রোন সামরিক মহড়া চালিয়েছে। এ মহড়ায় দেশীয়ভাবে তৈরি ২০ কিলোমিটার থেকে এক হাজার কিলোমিটার পাল্লার মনুষ্যবিহীন বিমানবাহী যানবাহনের (ইউএভিসমূহ) বিশাল প্রদর্শনী করে তারা।
হাউছি আন্দোলনের নেতা সাইয়্যিদ আবদুলমালিক আল-হাউছি সম্প্রতি ইসরাইলে আঘাত হানার হুমকি দিয়েছেন। তিনি গত বছর আরব দেশগুলোর সাথে দখলদার ইসরাইলের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের কট্টর সমালোচক। তিন ইসরাইলকে ‘মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় শত্রু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। গত জুন মাসে তিনি সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন।
গত বছর, সানাভিত্তিক হাউছি নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেনারেল মোহাম্মেদ আল-আতেফি বলেন, ইসরাইলে ইতোমধ্যে ‘সামরিক ও সামুদ্রিক লক্ষ্যবস্তুগুলোর একটি ব্যাংক’ চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘নেতৃত্ব যদি সিদ্ধান্ত নেয় আমরা তাদেরকে আক্রমণে দ্বিধা করবো না।’
লোহিত সাগর ও বাব এল-মান্দেব প্রণালীতে ইসরাইলের উচ্চাভিলাষ ও বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত সমর্থিত বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা ইয়েমেনি দ্বীপ সোকোত্রার ব্যাপারে সতর্ক হাউছি কর্তৃপক্ষ। এ দ্বীপটিতে আমিরাত ও ইসরাইল যৌথ সামরিক ঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনা করছে বলে জানা যায়। সূত্র : মিডলইস্ট আই।
সান নিউজ/এসএম