আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে বিজয় ঘোষণা করা হয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত সুচি অনুযায়ী মার্কিন আইন প্রণেতারা নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের বিজয় অনুমোদনের জন্য কংগ্রেসে আলোচনায় বসেন। গত ৩ নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) বিবিসি কংগ্রেসের অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে। এক যৌথ অধিবেশনে বসার কয়েক ঘণ্টা আগেই এর বিরোধিতা করে ওয়াশিংটনে জড়ো হন হাজার হাজার ট্রাম্প সমর্থক। সেই সমাবেশের বক্তব্যে নভেম্বরের নির্বাচনে পরাজয় মেনে না নেওয়ার ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
বুধবার (৬ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটালে অধিবেশন চলাকালীন সময়ে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা সেখানে ঢুকে সশস্ত্র হামলা চালান। এ ঘটনায় অন্তত ৪ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হন। সেসময় অধিবেশন স্থগিত হয়ে গেলেও পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসার পর তা আবারও শুরু হয়।
এতে মার্কিন সিনেট এবং হাউস অব রিপ্রেজেন্টিটিভস পেনসিলভানিয়া এবং এ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ভোটের আপত্তি খারিজ করে দিলে ইলেকটোরাল ভোট অনুমোদিত হয়। এর মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের বিজয় আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে।
গত ৩ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের বিজয় অনুমোদনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতারা কংগ্রেসে আলোচনায় বসেন। রয়টার্স জানিয়েছে, এই সমাবেশের অল্প একটু দূরে গিয়ে কয়েকশ ট্রাম্প সমর্থক ক্যাপিটল ভবনে নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
সংঘর্ষের মধ্যে প্রতিনিধি পরিষদের (হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস) সদস্যদের পাহারা দিয়ে অধিবেশন কক্ষ থেকে বের করে পুলিশ। ট্রাম্প সমর্থক কয়েকজন আইন প্রণেতার নির্বাচনের ফল বাতিলের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলার মধ্যেই সেখানে এই গোলযোগের সৃষ্টি হয়।
এই পরিস্থিতিতে সিনেট অধিবেশনও মূলতবি করা হয়। যৌথ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করা ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকেও পাহারা দিয়ে অধিবেশন কক্ষ থেকে বের করে পুলিশ। এ সময় পুলিশ অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত আইন প্রণেতাদের তাদের আসনের নিচ থেকে গ্যাস মাস্ক বের করে পরার পরামর্শ দেয়।
ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান উভয় দলের নির্বাচন কর্মকর্তা ও নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকরা সবাই ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে তেমন কোনও জালিয়াতি না হওয়ার কথা বলেছেন।
নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেয়ে ৭০ লাখের বেশি পপুলার ভোট পান ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের নির্ধারক ইলেকটোরাল ভোটের হিসাবে ট্রাম্পের ২৩২টির বিপরীতে বাইডেনের পক্ষে আসে ৩০৬টি। এরপর দেশের বিভিন্ন স্টেটে নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে আদালতে গিয়ে বিফল হতে হয় ট্রাম্পকে। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স।
সান নিউজ/এসএ/এস