আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অধিবেশন চলাকালীন কংগ্রেস ভবনে ঢুকে ট্রাম্প সমর্থকদের সহিংসতার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠেছে। বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের এ ঘটনায় বিস্মিত ও স্তব্ধ হওয়ার প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন বিশ্বের রাজনৈতিক নেতারা।
বুধবার ( ৭ জানুয়ার) নভেম্বরের নির্বাচনে জয় লাভ করা বাইডেনকে আগামী ৪ বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের জন্য কংগ্রেসে অধিবেশনে বসেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। সেসময় কংগ্রেসের ক্যাপিটল ভবনে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর চালায় ট্রাম্প সমর্থকেরা। এতে এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এ ঘটনাকে লজ্জাজনক দৃশ্য বলে উল্লেখ করেছেন। সেইসঙ্গে শান্তিপূর্ণ এবং সুশৃঙ্খল ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেন,‘ট্রাম্প এবং তার সমর্থকদের উচিত শেষ পর্যন্ত মার্কিন ভোটারদের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া এবং গণতন্ত্রের পদদলন না করা।
এক বিবৃতিতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ বলেন, ‘এটা পুরোপুরি অসুস্থ এবং হৃদয় বিদারক দৃশ্য। রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল কোনও দেশে এ ধরনের ঘটনার মাধ্যমে নির্বাচনের ফলকে বিতর্কিত করা হয়, আমাদের গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে এর কোনও স্থান নেই।’
এক বিবৃতিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, ‘ইতিহাস সঠিকভাবেই ক্যাপিটলের ওপর এই হামলাকে মনে রাখবে। এই মুহূর্তটি প্রচণ্ড অসম্মান এবং এই জাতির জন্য লজ্জাজনক।’কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘গণতন্ত্রের ওপর এই আঘাতের ঘটনায় কানাডীয়রা প্রচণ্ড বিরক্ত।’
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ জো বাইডেনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন এবং সহিংসতার ঘটনার প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন। একইভাবে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভান দোকে সহিংসতাকে প্রত্যাহার করে কংগ্রেসের সদস্যদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
চিলির প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান পিনেরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এ ঘটনার নিন্দা জানান। এক টুইটে তিনি বলেন, ওয়াশিংটন ডিসিতে সংঘর্ষ ও সহিংস ঘটনায় আমি অত্যন্ত আহত।
নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া যেন চলতে থাকে। একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে কখনই বেআইনি আন্দোলনের দ্বারা বিপথে চালিত হতে দেওয়া যায় না।
সান নিউজ/এসএ