আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানে গিয়ে গুপ্তচরবৃত্তিসহ সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠে ১০ চীনা নাগরিকের বিরুদ্ধে। ধরাও পড়ে তারা।
তবে আফগান সরকার তাদের ক্ষমা করে দিয়েছে। পরে তাদের নিজ দেশে ফেরতও পাঠানো হয়।
আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের ন্যাশনাল ডিরেক্টরেট অব সিকিউরিটি (এনডিএস) ওই চিনা নাগরিকদের আটক করেছিল। কাবুলের দৃঢ় ধারণা, ওই চিনা নাগরিকরা বেজিংয়ের গুপ্তচর। তাদের মধ্যে অন্তত এক জন নারীও ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাদের সঙ্গে চিনের মিনিস্ট্রি অব স্টেট সিকিউরিটির ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলেও আফগান প্রশাসনের সন্দেহ।
পরে তাদের এই শর্তে ক্ষমা করা হয় যে, গুপ্তচর নিয়োগ করার জন্য চীন ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
অভিযোগ উঠেছে, ধৃত চীনা ‘গুপ্তচর’দের দুই সদস্যের সঙ্গে হাক্কানি নেটওয়ার্কের যোগাযোগ ছিল। শ্যা হুং নামে এক চীনা নাগরিক কাবুলের শিরপুরে রেস্তোরাঁ চালাত। কাবুলের কাছে কার্ট-ই-চার এলাকায় আর এক চিনা নাগরিক লি ইয়াংইয়াংয়ের আস্তানা থেকে অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদক উদ্ধার করেছে কাবুল পুলিশ।
আফগান প্রশাসনের মতে, চীনা নাগরিকদের ওই গোষ্ঠীটি ইস্ট তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট নামে একটি ভুয়া সংগঠন খুলে গুপ্তচরবৃত্তি চালিয়ে যাচ্ছিল।
আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ চীনা দূত ওয়াং ইউকে শর্ত দেন, যদি চীন ওই কাণ্ডে ক্ষমা প্রার্থনা করে তবে ওই ১০ নাগরিককে মুক্তি দেয়া হবে। আরও শর্ত দেয়া হয়, চীন আন্তর্জাতিক নিয়ম ভঙ্গ করেছে এবং কাবুলের বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে তা মেনে নিতে হবে। এ নিয়ে চীন অবশ্য প্রকাশ্যে কোনো বিবৃতি দেয়নি। তবে ওই ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জানিয়েছে একাধিক সংবাদ মাধ্যম।
চীনা ওই ‘মডিউল’-এর সদস্যদের ২৩ দিন আটক করে রাখা হয়েছিল। গত ২৫ ডিসেম্বর তাদের মুক্তি দেয়া হয়। চীনের পাঠানো বিশেষ বিমান তারা বেইজিংয়ে ফেরেন।
সান নিউজ/আরআই