আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিদায়ী বছরের শেষ সময়ের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জয় আটকাতে শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন একদল সিনেটর। তারা বলেছেন, নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ তদন্তে একটি কমিশন গঠন না করা পর্যন্ত তারা নির্বাচিত জো বাইডেনকে সার্টিফাই করবেন না।
সিনেটর টেড ক্রুজের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন মোট ১২ জন সিনেটর। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, তারা ভোট কারচুরি অভিযোগ করলেও এর কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি। তারা চাইছেন নির্বাচনী ফলের অডিট ১০ দিন বিলম্বিত করাতে। তবে তারা বাইডেনকে আটকে দিতে সফল হবেন না বলেই আশা করা হচ্ছে।
আগামী ৬ই জানুয়ারি বেশির ভাগ সিনেটর বাইডেনকে সমর্থন করে অনুমোদন দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য,৩রা নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হলেও এখন পর্যন্ত পরাজয় মেনে নেননি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বার বার প্রমাণ ছাড়াই ভোটে কারচুপি, ভোট চুরির অভিযোগ তুলছেন। এমন অভিযোগে তিনি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গেলেও সেখান থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। তার মামলা খারিজ করে দিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেট জো বাইডেন ৩০৬টি ডেলিগেট নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২ টি ডেলিগেট। একজন প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে কমপক্ষে ২৭০টি ডেলিগেট পেতে হয়। ডেলিগেটরা বিজয়ীর পক্ষে সমর্থন জানালেও আগামী ৬ই জানুয়ারি এই ভোটের ফল অনুমোদন করতে হবে কংগ্রেসকে।
এরপরই ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট শপথ নেবেন। কিন্তু টেক্সাসের সিনেটর টেড ক্রুজের নেতৃত্বে তাতে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। টেড ক্রুজ ও অন্যদের দাবি, নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অনাকাঙ্খিতভাবে ভোটে জালিয়াতি হয়েছে। নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে। নির্বাচনী আইনের প্রয়োগে ঘাটতি ছিল।
এ ছাড়া অন্যান্য অনিয়ম ঘটেছে। এক্ষেত্রে তিনি ১৮৭৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ঘটনার উল্লেখ করেন। সেই সময় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে উভয় পক্ষই তিনটি রাজ্যে বিজয় দাবি করেছিল। এর প্রেক্ষিতে তখন ঘটনা তদন্তে দ্বিপক্ষীয় কমিটি গঠন হয়েছিল। তার ওপর ভিত্তি করে এবার টেড ক্রুজের নেতৃত্বে সিনেটররা কংগ্রেসের কাছে আহ্বান জানাবেন একটি কমিশন গঠন করতে।
তারা বিরোধপূর্ণ রাজ্যগুলোতে নির্বাচনের ফল জরুরি ভিত্তিতে ১০ দিনের মধ্যে অডিট করবেন। তারা এও বলেছেন, তাদের উদ্যোগ সফল নাও হতে পারে। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকানদের একটি পক্ষও নির্বাচনী ফলকে চ্যালেঞ্জ করার পরিকল্পনা করছে। একইভাবে কমপক্ষে এক ডজন রিপাবলিকান সিনেটর এই উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চান, নির্বাচনের ফল উল্টে দেয়া হোক।
সান নিউজ/এসএ/এস