ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্তের একটি ক্রসিং পয়েন্ট। উদ্দেশ্য করোনাভাইরাসের সংক্রমন রোধ । কিন্তু সীমান্তবর্তী এলাকায় সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে মার্কিন সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছে কানাডা।যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক হওয়ার আহবানের পাশাপাশি বৃহস্পতিবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন কানাডার উপ প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিনা ফ্রিল্যান্ড।
ফ্রিল্যান্ড বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহভাজন আশ্রয়প্রার্থীদের ধরার জন্য মার্কিন সরকার যদি সেনা মোতায়েন করে তাহলে ওয়াশিংটন-অটোয়া সম্পর্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কানাডার উপ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিষয়টিকে দু-দেশের সম্পর্কের ক্ষতিকারক হিসেবে দেখছি।” বিষয়টিকে সম্পূর্ণ একটি অপ্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেন ফ্রিল্যান্ড।
তিনি বলেন, আমরা আমেরিকার এ প্রস্তাবের কঠোর বিরোধিতা করেছি এবং এ বিরোধিতার কথা অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় ওয়াশিংটনকে জানিয়ে দিয়েছি।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্ত গলিয়ে যেন কোনো অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সেখানে মার্কিন সেনাবাহিনী মোতায়েনের উদ্যোগ নেয় যুক্তরাষ্ট্র। সীমান্ত এলাকার ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে মোতায়েনের জন্য এক হাজার সেনার একটি কন্টিনজেন্ট পাঠানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়।
তবে ওই পরিকল্পনা ওয়াশিংটন এখনো চূড়ান্ত করেনি বলে জানা গেছে।