আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বছরের শুরুতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি। আগামী ৬ জানুয়ারি কংগ্রেস ও সিনেটের যৌথ অধিবেশন বসছে। এই যৌথ অধিবেশনে নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিজয়ে বাঁধা সৃষ্টি করতে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষ নিয়েছেন অনেক রক্ষণশীল রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা। এই বিশেষ অধিবেশনে ইলেক্টোরাল ভোট আনুষ্ঠানিকভাবে গণনা করার কথা। এদিকে ট্রাম্পের সমর্থক শ্বেতাঙ্গবাদী গোষ্ঠীর কট্টর সদস্যরা এদিন ওয়াশিংটনে এক ব্যাপক সমাবেশের ডাক দিয়েছে। উইমেন ফর আমেরিকা ফাষ্টের ব্যানারে সমাবেশ আহবান করা হলেও পেছনে রয়েছে উগ্র শেতাঙ্গবাদী সংগঠন প্রাউড বয়জের মদত।
খোদ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই সমাবেশে যোগ দিতে টুইট করে সারা আমেরিকা থেকে মানুষজনকে উপস্থিত হতে আহ্বান জানিয়েছেন। এমনকি বার বার তিনি সোশ্যাল মিডিয়া টুইটার, ফেসবুকে এই আহ্বানে প্রতিধ্বনি করছেন।
ট্রাম্প নিজেই ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই সমাবেশ শান্তিপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থকরা নিজেদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ব্যবস্হা নিয়ে সমাবেশে আসতে একে অন্যকে বার্তা দিচ্ছে। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী এই ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তাকে গুরত্বের সাথে নিয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসির নতুন পুলিশ কমিশনার রবার্ট কন্টি বলেছেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাঁধা দেয়া হবে না। তবে যে কোন ধরনের সহিংসতার অপচেষ্টা করা হলে তা কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে। বসে নেই বিরোধী পক্ষ, তারাও সকল প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে।
এই সমাবেশ ঘিরে মেট্রো ওয়াশিংটনের হোটেলগুলো এখন পূর্ণ। কোন রুম খালি নেই। নতুন বুকিং রাখছে না কেউ। ওয়াশিংটন ডিসি ও মেরিল্যান্ডের চিত্র এটা। যে কোন সহিংস ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন সকলেই। সিনেটে মেজরিটি লিডার রিপাবলিকান মিচ ম্যককণেল প্রকাশ্যে কিছু না বললেও ব্যক্তিগতভাবে দলের আইনপ্রণেতাদের এই কাজে শামিল না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলে সিএনএন জানায়।
মিসৌরির সিনেটর রিপাবলিকান জোশ হাউলি ট্রাম্পের পক্ষ নিয়ে যৌথ অধিবেশনে ইলেক্টোরাল ভোট নিয়ে আপত্তি উত্থাপন করবেন বলে জানান।
হাউলিকে সমর্থন করেন এমন অন্তত আরো ২০ জন আইনপ্রণেতা রয়েছেন বলে দ্য হিল জানিয়েছে। ট্রাম্প তার পক্ষে আরো লোক টানতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। সিনেটের মাইনরিটি লিডার চাক শুমার সিনেটের হাউলির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, কয়েক ডজন মামলায় হারার পর মিথ্যা ভোট জালিয়াতির দাবি হাস্যকর বিষয়ে পরিণত হয়েছে, তবে ভেতরে ভেতরে অনেক রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ট্রাম্পের পক্ষে নয় বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সে ৭ জানুয়ারি মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়ার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী বাতিল করা হয়েছে বলে হোয়াইট হাউসের এক বিশ্বস্ত সূত্রের বরাতে সিএনএন জানিয়েছে।
সান নিউজ/এস