আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সারা বিশ্বের মতো ইসরায়েলেও দাপট দেখাচ্ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এরই মধ্যে রামন কারাগারের বন্দী ও নিরাপত্তাকর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। ফলে ওই কারাগার বন্ধ করে দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
প্যালেস্টাইন প্রিজনার সোসাইটি (পিপিএস) নামের একটি বেসরকারি সংস্থা এ খবর জানিয়েছে।
তবে কারাগার বন্ধের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ। গত রবিবার পিপিএস এক বিবৃতিতে জানায়, কারাগার বন্ধের বিষয়টি বন্দীদের মধ্যে করোনা ভয়ানক আকার ধারণের ইঙ্গিত দেয়।
ইতিমধ্যে কারাবন্দীদের মধ্যে করোনা পরীক্ষা শুরু করবে বলে জানিয়েছে বন্দী বিষয়ক কর্তৃপক্ষ। রেমন কারাগারে সাতটি সেল আছে এবং তাতে ৩৬০ জন ফিলিস্তিনি বন্দী আছে বলে জানা যায়।
পিপিএস আরেও জানায়, ইসরায়েলি জেলারদের মধ্যে মহামারী ছড়িয়ে পড়ার সূত্রে বন্দীদের মধ্যেও তা ছড়িয়ে পড়ে।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলে করোনার টিকা প্রদান শুরু হয়। অবশ্য দেশটির জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী আমির ওহানা বলেন, করোনায় আক্রান্ত বন্দীদের টিকা প্রদান করা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হবে না।
ফিলিস্তিনের বন্দী বিষয়ক সংস্থার মুখপাত্র হাসান আবেদ রাব্বু বলেন, ওহানার বক্তব্য জাতিবিদ্বেষমূলক। এতে করে বন্দীদের বিরুদ্ধে আরেকটি অপরাধ যুক্ত হল।
আবেদ রাব্বু বলেন, দখলদার ইসরায়েলি সরকার বন্দীদের জীবন ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য পুরোপুরি দায়ী। তাছাড়া করোনা মহামারি থেকে সুরক্ষায় ইসরায়েল পর্যাপ্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। গত এপ্রিল থেকে ১৪০ জন ফিলিস্তিনি বন্দী করোনায় আক্রান্ত হয়। এদের অনেকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় গিলবোয়া কারাগারে বন্দী ছিল।
ইসরায়েলে বর্তমানে প্রায় চার হাজার চারশ’ বন্দী আছে। এদের মধ্যে ৪১ জন নারী এবং ১৭০ জন শিশুও আছে। এছাড়া অভিযোগ ও বিচার ছাড়া প্রশাসনিক আটক আইনের ভিত্তিতে তিনশ’ ৮০ জন বন্দী আছে। সূত্র: আল-জাজিরা
সান নিউজ/এসএম